টালি নালার দু'ধারে থাকা ৪৮ জন জবরদখলকারীকে পুনর্বাসন দিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। কোথা𒈔য় কোন প্রকল্পের অধীনে এই জবরদরকারীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে? কলকা♏তা পুরসভা ইতিধ্যেই সে বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তাতে ঠিক হয়েছে ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুঁদঘাটের ব্রিক ফিল্ড রোডে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে চারতলার বিল্ডিং তৈরি করা হবে। সেখানে তাদের পুনবাসন দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচিত সংস্থাকে দিয়ে কাজের জন্য টেন্ডার কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ঠিক হয়েছে এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য ১.৩ কোটি টাকা খরচ করা হবে। প্রয়োজন বুঝে নির্দিষ্ট খাত থেকে খরচ করা হবে এই অর্থ।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের আদলে হবে আদিগঙ্গা, সংস্কারে ফিরহাদের দফতর,এই পথেই গ๊𓄧িয়েছিলেন মহাপ্রভূ
প্রসঙ্গত, টালিনালার নোংরা, আবর্জনা নিয়ে পরিবেশ আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে। সেক্ষেত্রে কেন নিকাশি প্লান্ট তৈরিতে অবহেলা করা হচ্ছে? তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চেয়েছিল পরিবেশ আদালত। সে ক্ষেত্রে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা প্রকল্প থেকে অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল। তবে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, তাদের তরফে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যদিও ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার তরফে জানানো হয় যে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে অর্থ নিয়ে এই কাজ হচ্ছে। তাদের যে নিয়ম রয়েছে সে নিয়ম মানতে হবে। ফলে কোনও শর্ত চাপানো হয়নি। উল্লেখ্য, এই নিয়মের মধ্যে ছিল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশকে পুনর্বাসন দিতে হবে। সেটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই প্রকল্পের জন্য। অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মধ্যে ৪৮ জনকে পুনর্বাসন নিতে চলেছে কলক🍬াতা পুরসভা।
কেএমসির তরফে জানানো হয়, ১১৩ এবং ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডে টালি নালার দুই ধারে ৪৩২টি পরিবার রয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে। ২০২০ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত সে ক্ষেত্রে জবরদখলকারীদের সরানোর বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ করতে বলে। একইসঙ্𝓀গে তাদের পূর্ণবাসনের জন্য জমিও ঠিক করতে বলেছিল রাজ্য সরকার। অবশেষে নানা টালবাহানার পর সেই কাজের লক্ষ্যে প্রস্তাব গ্রহণ করল কলকাতা পুরসভা। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ হবে বলে পুরসভার এক আধিকারিক জানান।