খাস কলকাতায় ফের আত্মঘাতী পুলিশ। নিজের সার্ভিস পিস্ত✨ল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন কলকাতা পুলিশের এক নম্বর ব্যাটেলি♋য়নের কনস্টেবল। তিনি ওয়ারলেস শাখায় কর্মরত ছিলেন। ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম পুলক ব্যাপারী (৩৫)। পর্ণশ্রী থানা এলাকায় তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ একটি আবাসন থেকে তার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জামা ইস্ত্🤡▨রি করতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের
জানা গিয়েছে, পর্ণশ💧্রীর গোপাল মিশ্র রোডের ওই আবাসনের দোতলার একটি ঘরে তিনি থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ গুলির বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে যান। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কনস্টেবলের দেহ। তাঁর দেহের কাছেই পড়েছিল পিস্তল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে হত্যা করলেন ওই কনস্টেবল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে ওই আবাসনে ভাড়া থাকতেন পুলক বাবু। দীর্ঘদিন তিনি ছুটিতে ছিলেন। সম্প্রতি আবার তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন। ছুটি নিয়ে কোꦯনও সমস্যা হয়েছিল নাকি বাড়িতে কোনও সমস্যা হয়েছিল? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আবাস🎀নের অন্যান্য বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেই মানসিক অবসাদে নিজের সার্ভিস পিস্তল দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের আরও একজন কনস্টেবল। খাদ্যভবনের ভিতরে পুলিশের ব্যারাক রয়েছে। সেই ব্যারাক থেকে বড়দিনের রাত ১১টা নাগাদ ডিউটিতে যাচ্ছিলেন রির্জাভ ফোর্সের কনস্টেবল তপন পাল। সেই সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান সহকর্মীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় কনস্টেবলকে। সেই ঘটনার পরেই ওঠে বড়সড় প্রশ্ন। লালবাজারের নির্দেশ রয়েছে, কোনও পুলিশ কর্মী মানসিক অবসাদে থাকলে সেক্ষেত্রে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ক্লাস এবং কাউন্সেলিং করাতে হবে। শুধু তাই নয় অবশেষে থাকা কর্মীদের হাতে অস্ত্র দেওয়া যাবে না। তা সত্ত্বেও কীভাবে ওই পুলিশকর্মীর হাত🅘ে অস্ত্র এল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে লালবাজার। সে ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।