জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নানꦐা ব্যঙ্গ–বিদ্রুপ সহ্য করতে হচ্ছে। তাঁর চারপাশ থেকে ছিঁচকে চোরের ব্যঙ্গ–বিদ্রুপে তিনি অতিষ্ট। এই নিয়ে তিনি নালিশও ঠুকেছিলে। এবার তাদের তাড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছে বাঁশদ্রোণীর যতীন ওরফে যতীন্দ্রনাথ সাউ। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে জেলের বাইরে চর্চা অন্যদিকে জেলের ভিতরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী যারা পার্থবাবুকে বিরক্ত করে তারাও রীতিমত চমকে উঠেছে। কেউ কেউ শিউরে উঠেছে বলে সূত্রের খবর।
কে এই যতীন সাউ? এই প্রশ্নই এখন চর্চা শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। কারণ পাঁচ মাস আগে যতীন্দ্রনাথ সাউ খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে। পার্থবাবুর দেখভালের দায়িত্ব পেয়ে বেজার খুশি যতীন। গত ১০ মার্চ যতীনের কয়েকজন পরিচিত তার সঙ্গে দেখা করতে আসে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। তখনই যতীন পরিচিতদের এই ‘সুসংবাদ’ জানিয়ে দেয়। আর তাদের যতীন জানায়, পার্থবাবু তাকে খুবই পছন্দ করে। নিজের খাবারের ভাগ থে🔯কে মাছ–ডিম দেন। সেসব খেয়ে খুশি যতীন। এখন দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যতীনের ঠাঁই প্রেসিডেন্সিতে হল কেমন করে? সালটা ২০১২𒉰। প্রচণ্ড রাগে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি যতীন♎। তাই রাগের মাথায় সামনের মানুষটিকে এক কোপেই খুন করে বসে। কড়েয়া থানা🦋য় যতীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ১১ বছর মামলা চলার পর তার ঠাঁই এখন প্রেসিডেন্সি জেলে। আর এদিকে কখনও ‘মোটকা দা টুকি’ আবার কখনও ‘ওই দেখ চাকরি চোর’ টিপ্পনি শুনে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন পার্থ। আর তা ঠেকাতে নিজেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ ঠুকেছিলেন। যতীনের নতুন ‘ডিউটি’ সেই নালিশেরই ফল বলে জেল সূত্রে খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে পাঁচ বছর আগে এক মহিলার বাড়িতেই যতীন থাকত। গত ১০ মার্চ ওই মহিলা জেলে যতীনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁকে যতীন জানায়, মন্ত্রীর সেলে কাজ মিলেছে। ছিঁচকে চোরের উপদ্রব ঠেকাতে। মেদিনীপুর থেকে যতীন কলকাতায় আসে। আটের দশক থেকে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা। ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে জীবন শুরু হয়েছিল তার। আবার অটো চালাত সে। যতীনের ঠাঁই হয় প্রতিবেশীর বাড়িতে। ওই মহিলার বিপদের☂ দিনে যতীন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল। যতীনের সেই সাহায্য আজও ভুলতে পারেননি ওই♏ মহিলা। পার্থবাবু আগে যতীনকে চিনতেন না। এখানেই যতীনের সঙ্গে পরিচয়। রোজ খোঁজখবর নেয় যতীন। সেখান থেকে সম্পর্ক তৈরি হয়।