দলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দের মধ্যেই তৃণমূলের কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল ভবনে পতাকা উত্তোলন করে তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লোকসভা ভোটে লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রীর নীতি আদর্শের উপর ভিত্তি করে এই লড়াই চলবে।&꧙nbsp;
তৃণমূল ভবনে তিনি যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সম🍰য় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, কলকাতার মেয়র ফ💙িরহাদ হাকিম এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার।
সম্প্রতি অভিষেক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘দলে প্রবীণদের প্রয়োজন। তবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমাও থাকা দরকার।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই মন্𒈔তব্যের পর দলের প্রবীণ নেতাদের কেউ কেউ মুখ খুলতে শুরু করেন।
কিছুদিন আগে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘জীবিত থাকাকালীন তাঁর বিকল্প কেউ নন। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন তিনিই থাকবেন।’ এর আগে মদন মিত্র, তাপস রায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে তাঁদের মত প্রকাশ করেছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন রাজ্য সভাপতি হিসাবে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সুব্রত বক্সি। তেমনটা মত রাজনৈতিক মহলের। তিনি বলেন, 'ওএই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিতভাবেই লড়াইয়ের 🍒ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না।' তাঁর কথায়, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন। দলের প্রতীক জোড়াফুলকে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন।’
(পড়ুন। ‘অভিষেকের কথা শুনলে দলেরই মঙ্গল হবে’, বক্সির বক্তব্য খারিজ করলেন কুণা🉐ল)
প্রসঙ্গত,তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উ🌟পলক্ষে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বার্তা প্রকাশ করেন। সেই বার্তায় দলনেত্রী লিখেছেন, ‘কোনও অপশক্তির কাছে মাথা নত নয়। সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের💯 জন্য আমাদের সংগ্রাম আজীবন চলবে।’
অন্যদিকে অভিষেকꦕ বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর এক্๊স হ্যান্ডেলে সেই লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে লিখেছেন, ‘নতুন বছরে নব-উদ্যমে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। সমস্ত ক্লেদ, গ্লানি, বিষদ মুছে যাক সুখের পরশে।’