কসবার ভুয়ো টিকাকরণ মܫামলায় মূল অভিযুক্ত ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করার অনুমতি দিল আলিপুর আদালত। শনিবার এই মামলার সঙ্গে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছিল লালবাজারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল সিট। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
ধৃতদের জেরা করে ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তারপরেই এই মামলায় ধৃত দেবাঞ্জন দ♔েবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা অনুযায়ী খুনে⛎র চেষ্টার ধারা যুক্ত করবে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের তরফে আর কিছুদিনের মধ্যেই এই ঘটনার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কসবার ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন🦋 দেবের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রতারণা, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অপরাধের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করার পরই সম্ভবত আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট পেশ করবে লালবাজারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল সিট।
গত ২২ জুন প্রথম কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, কসবায় অনুমতি ছাড়াই ⛄করোনার টিকাকরণ শিবির চালানো হচ্ছিল। জাল 🌄ভ্যাকসিন মামলার তদন্তে নেমে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব-সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এদের মধ্যে দেবাঞ্জন ছাড়া আরও ৪ জন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আদালতের নির্দেশে বাকিরা সংশোধনাগারে রয়েছে।
পরে তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। এরপরই তদন্তের অগ্রগতির জন্য লালবাজারের তরফে সিট গঠন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে এই ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে মোট ৪টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মামলা🧔 খারিজ করে দেয় আদালত। বাকি তি🍰নটি মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, তাপস মাইতি ও আইনজীবী সন্দীপন দাস। বিজেপির তরফে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি তোলা হয়। যদিও গত ৯ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই।