কলকাতার অন্যতম পুর♓নো ঝিল হল বিক্রমগড় ঝিল। যাদবপুর, গল্ফগ্রিন এবং বিক্রমগড়ের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত এই ঝিল। আড়াই বছর থমকে থাকার পর সম্প্রতি এই ঝিল সংস্কারের কাজ শুরু হতে চলেছে। আর এবার এই ঝিলের একটি অংশ বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ উঠল। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা।
কলকাতা পুরসভা ২০০৩ সালে প্রিন্স গোলাম হো𝔍সেন শাহ রোডের প্রায় ৩০ কাঠা জলাভূমি দখলের ঘোষণা করেছিল। পুরসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১০ সালে ঝিলের দায়িত্ব নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে কিছু লোক জমি পরিমাপ করতে এসেছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা জানান, ৮৭ নম্বর প্রিন্স গোলাম হোসেন শাহ ⛎রোডের প্লটটির উন্নয়নের জন্য তাঁরা মাপ করছিলেন। স্থানীয়রা তাতে আপত্তি জানান। এরপর তারা স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, তারপরেও কেউ সেখানে যাননি। অভিযোগ, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত রয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস বলেন, ঝিলের কিছু অংশ দখলের চেষ্টার বিষয়ে তিনি জানতেন। তবে কেউ বেআইনিভাবে এটি দখল কর𝔉তে পারবে না। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছ💜ে। পরিবেশের দায়িত্বে থাকা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, ওই ঝিলটি সংস্কার করার জন্য ৯ কোটি টাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুরসভার কাছে তহবিল নেই। তাই রাজ্য সরকারের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আড়াই বছর ধরে থমকে ছিল বিক্রমগড় ঝিলের সংস্কারের কাজ। তবে গত জানুয়ারিতে এই ঝিল সংস্কারের কাজ শুরু করার কথা জানানো হয়েছে। বহু পুরোনো এই ঝিল দক্ষিণ শহরতলির বিক্রমগড়, যাদবপুর, গল্ফগ্রিন এলা𒉰কার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর ঝিলটিকে কলকাতা পুরসভার মাধ্যমে সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু করোনার জন্য আড়াই বছর ধরে তা থমকে ছিল।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ঝিল সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবিত রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল আগেই। সরকারের তরফে তখন ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঠিক হয়েছিল, ঝিল সংস্কার করে সেটির পাশের রাস্তায় আলো বসানো হবে। প্রবীণদের বসার জায়গার ব্যবস্থার পাশাপাশি মাছ চাষের পরিকল্পনাও ছিল। প্রাথমিক ভাবে ঝিলের জ🏅ল থেকে কচুরিপানা তোলা, খনন, চারধারে শালবল্লা পোঁতার কাজ শুরুও হয়। এ জন্য বরাদ্দ অর্থের ১ কোটি টাকা পেয়েছিল পুরসভা। নবান্ন থেকে ঝিল সংস্কারের কাজের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার মাসকয়েক বাদেই শুরু হয়ে যায় করোনার দৌরাত্ম্য। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পুনরায় ওই ঝিল সংস্কারের কাজ শুরꦉু হয়েছে।
🌺এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup