খাস কলকাতার বেহালায় পেট্রোল পাম্পে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হল একাধিক গাড়ি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মী থেকে শুরু করে গাড়ির মালিকরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি♊ নিয়ন্ত্রণে আনে। পেট্রোল পাম্পের করജ্মীদের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন যুবক এদিন ভাঙচুর চালায়। জানা যাচ্ছে, মদের বোতল, বাঁশ, লাঠি প্রভৃতি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলের উপর শু🤡ল্ক ছাড় যেཧন গলার কাঁটা, মাথায় হাত পাম্প মালিকদের
কর্মীদের দাবি, ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ লীলা পেট্রোল পাম্পে। প্রথমে দু’জন যুবক মদ্যপ অবস্থায় পেট্রোল পাম্পে আসে। সেখানে এসে তারা পেট্রোল পাম্পের কর্꧂মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিয়ে আসে। এরপর আরও কয়েকজন যুবক লাঠি, বাঁশ, মদের বোতল প্রভৃতি নিয়ে হামলা চালায়। মূলত সিএনজি নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি পেট্রোল পাম্পের কর্মীদেরও মারধর ধরে। অবস্থা বেগতিক বুঝে গাড়ির মালিকরা লালবাজার এবং স্থানীয় থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই থ𝕴ানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পেট্রোল পাম্পে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। গাড়ির মালিকদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা দুদফায় হামলা চালায়। প্রথমে কয়েকজন এসে বিয়ারের বোতল, লাঠি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। তারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আরও ২০ থেকে ২৫ জন যুবক এসে অন্যান্য গাড়িতে হামলা চালায়। গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। মালিকদের অভিযোগ, তারা কোনওভাবে সেখান থেকে পালিয়ে বেঁচেছেন।
কর্মীদের দাবি, মূলত গ্যাস বন্ধ করার দাবি জানিয়ে এদিন হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এর আগেও গ্যাস বন্ধ করার জন্য তারা হুমকি দিয়েছিল। তবে এত বড় এর আগে ঝামেলা হয়নি। এই প্রথমবার এই ধরনের ঘটনা ঘটল। এই ঘটনার পর থেকেই কার্যত আতঙ্কে রয়েছেন কর্মী থেকে শুরু করে পাম্প মালিক। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ ধরে পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকে। এমনকী অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা। এই ঘটনার পর পুলিশের তরফে মালিক এবং কর্মীদ♉ের আশ্বস্ত করা হয়েছে, ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।