কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে। আর এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল এসএসকেএম হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। রক্ত না পাওয়ায় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পরেই পিজি হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করꩵা হয়েছে।
রোগী পরিবারের অভিযোগ, একদিনের এক শিশু কন্যার রক্তের প্রয়োজন থাকায় তারা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে বি নেগেটিভ রক্তের খোঁজ করছিলেন। কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে রক্ত দেওয়া যাবে না। এতে ক্ষুব্ধܫ হয়ে রোগী পরিজনের সদস্যরা ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
যদিও ব্লাড ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, এখন রক্তের আকাল থাকায় রোগী পরিবারকে তাদের পক্ষಌে রক্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু, রোগী পরিজন তা মানতে অস্🦹বীকার করায় প্রথমে তাদের সঙ্গে বচসা বাঁধে ও পরে মারধর করে।
কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে একের পর এক চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীর মত প্রথম সারির যোদ্ধারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে, তাঁরা রোগীদের পরিষেবা প্রদানের চেꦛষ্টা করছেন আর তারই মধ্যে চিকিৎসক স্বাস🥃্থ্য কর্মীদের মারধর সঠিক নয়।
এর আগেও একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রোগী পরিবারের♔ বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই মালদার একটি হাসপাতালে এক চিকিৎসককে ꦡমারধরের অভিযোগ উঠেছিল।
প্রসঙ্গত, কোভিডের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রক্ত সংকট দেখা দিয়েছিল রাজ🌟্যের বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং হাসপাতালগুলিতে। ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির মতে, কো♐ভিডের বাড়বাড়ন্ত থাকায় অনেকেই আতঙ্কে রক্ত দিতে ভয় পাচ্ছেন। এই অবস্থায় বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন রক্ত সংকট মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন।