রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে চাইলেও সকাল থেকেই পুরভোটকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। কোথাও এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া, আবার কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোꦓগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা। এরইমধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন বিদ্যালয়ে ভুয়ো ভোটারদের দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ব্রাবোর্ন রোডে। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে এদিন সকালে বুথে হাজির হন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। তাঁর অভিযোগ, 'বেশ কয়েকজন ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের ভোটার কার্ড নেই। বাবা মায়ের নামও ঠিক মত বলতে পারছে না। তাদের চেপে ধܫরতেই দুজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে দুজনকে🦩 আমরা ধরতে পেরেছি।' তাঁর দাবি যুবকরা ভুয়ো ভোটার। তারা হাওড়ার বাসিন্দা। তবে কংগ্রেস প্রার্থীর এই অভিযোগকে মানতে রাজি নয় বিজেপি এবং তৃণমূল। একযোগে তাদের অভিযোগ, সন্তোষ পাঠক নাটক করছেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতার বক্তব্য, 'সন্তোষ পাঠক ভোটারদের বিরক্ত করছেন। তিনি নিজেই ভুয়ো ভোটার সাজিয়ে নিয়ে এসেছেন। এরকমভাবে ভোটারদের বিরক্ত করার কোনও মানে হয় না।' অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী কুশল পান্ডের অভিযোগ, 'কংগ্রেস ♈প্রার্থী ভোটারদের হেনস্তা করছেন। তিনি ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছেন 🅰না। সেখানে গিয়ে ঝামেলা করছেন।'
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে ঘটনাস্থলে 👍গিয়ে ডিসি অফিস কুমার সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রসঙ্গত, এদিন সেখানে দুই যুবককে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের ধরতে পুলিশ বাহিনী পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে। এমনকি তার উপর লাঠিচার্জও করা হয়। অন্যদিকে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখে বড় বাজারের বহু কর্মী দোকান থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। যদিও পুলিশ তাদের দোকানে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ 💫দেয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।