ক্ষমতা থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রত, পার্থকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কলকাতায় এসে তৃণমূলনেত্রীꦺকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দলকে ৩৫টি আসন দিতে জনতাকে আহ্বান জানালেন তিনি।
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই সভার স্বানমাহাত্ম বোঝাতে গিয়ে শাহ বলেন, ‘এই মাঠেই সহোরাবর্দি ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডের ডাক দিয়েছিলেন। গোপাল মুখোপাধ্য♔ায় তার মুখোমুখি হওয়ার♐ শপথ নিয়েছিলেন। এই মাঠই পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে’।
এর পর শুভেন্দু অধিকারীকে⛎ বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করার বিরোধিতায় সরব হন তিনি। বলেন,🎀 ‘দিদি, কান খুলে শোন। শুভেন্দুজিকে বিধানসভা থেকে বার করতে পারো। কিন্তু বাংলার মানুষকে চুপ করাতে পারবে না। বাংলার মানুষ বলছে দিদি আপনার সময় ফুরিয়ে এসেছে’।
রাজ্🐻যে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘মোদীজি লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা বাংলায় পাঠান তৃণমূলের সিন্ডিকেট তা মানুষের কাছে পৌঁছতে দেন না’। রাজ্যে দুর্নীতির বহর বোঝাতে গিয়ে শাহ বলেন, ‘আমি জীবনে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকার বান্ডিল উদ্ধার ꦜহতে দেখিনি’।
রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের ওপর একের পর💯 এক হামলার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি কর্মীরা আমার ভাইয়ের থেকেও ꦺবেশি। ২০২৬এ ভোটে বুঝতে পারবে কী করে রাজনৈতিক হত্যার ভোট দিয়ে বদলা নিতে হয়’।
এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শাহ বলেন,𝓡 ‘সাহস থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রত, পার্থকে তৃণমূল কংগ্রস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। রোজ দুর্গার স্তুতি করছেন। ভাইপোর নাম না বলে দেয়। সংসদের পবিত্রতাও তৃণমূল নষ্ট করেছে। উপহার পয়সা নিয়ে প্রশ্ন তোলা দল বাংলা বা ভারতের কল্যাণ করতে পারে’?
দেশে সিএএ লাগু হবেই বলে ফের আশ্বাস দেন শাহ। বলেন, ‘মমতা দিদি, দেশের আইন, একে কেউ রুখতে পারবে না। আমরা সিএএ লাগু করবই। যারা ওখান থেকে এসেছেন সেই হিন্দু ๊ভাইবোনেদের ততটাই অধিকার, যতটা আমার আপনার অধিকার’।
বিজেপিকে ভোটদানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রত পরিবারবাদী তৃণমূল বাংলার কল্য🦋াণ করতে পারে না। কমিউনিস্টরাও করতে পারে না। কংগ্রেস ও তৃণমূলের আশ্রয়ে রয়েছে, তারা কী করে করবে? বাংলার উন্নতি মোদীজির অগ্রাধিকার। এখানে এমন সরকার গড়তে হবে যেন মোদীজি উন্নয়নের জন্য উর্বর মাটি পান’।
এদিন তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ খণ্ডন করে শাহ বলেন, ‘২০০৪🍌 – ২০১৪ সাল পর্যন্ত যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করতেন তখন ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের থেকে মাত্র ২ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছিল।ಌ আর ২০১৪ সাল থেকে গত ৯ বছরে মোদী সরকারের জমানায় রাজ্য সরকার কেন্দ্রের থেকে ৬ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে।’
শাহ বলেন, ‘২০২১🍷 সালের বিধানসভা নির্বাচনে রিগিং করে ๊জিতেছে তৃণমূল। তবে ২০২৬ সালে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।’