যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কয়েক সপ্তাহ আগে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।তাতে বহু ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে হস্টেল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছিল। যাꦬদবপুরের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের বৈঠকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাতে ৩৫ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
আরও পড়ুন: যাদব💛পুর✨ের বিভাগীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন উপাচার্য
এর আগেও কর্ম সমিতির বৈঠকে অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে হস্টেলের আবাসিকদের আপত্তির𒁏 কারণে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের বৈঠকে অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে যে ৯৫ জন আবাসিককে হস্টেল থেকে বের করার সুপারিশ করেছিল অভ্যন্তরীণ কমিটি তার মধ্যে ৩৫ জনের ক্ষেত্রে সুপারিশে মান্যতা দিয়েছে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ ফেটসুর তিন ছাত্রনেতার শাস্তির সুপারিশ করেছিল অভ্যন্তরীণ কমিটি। সে ক্ষেত্রে স্কোয়াডের সদস্যদের মতে বিষয়টিকে লঘু করে দেখা হয়েছে। এছাড়া, তদন্ত কমিটি রিপোর্টে ডিন অফ স্টুডেন্ট এবং রেজিস্ট্রারের যে ভূমিকা কথা উল্লেখ করেছে সে বিষয়ে পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন বলেই মনে করছে কমিটি। স্কোয়ারের সদস্যদের মতে, এই ঘটনার আগে তাদের ভূমিকা কতটা ছিল সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। সদস্যরা এ বিষয়ে নিজেদের মতামত দিতে পারবেন। তারপরে কর্ম সমিতির বৈঠকে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান𝄹্ত হবে।
রিপোর্টে আরও কী উল্লেখ ছিল?
পড়ুয়াদের ওপর কী ভয়ঙ্করভাবে র্যাগিং করা হত তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ টু ব্লকেই সবচেয়ে বেশি র্যাগিং হত। প্রথম বর্ষের ১৫০ জন পড়ুয়াকে নিয়ন্ত্রণ করত এ ২ ব্লকের সিনিয়র দাদারা। শুধু তাই নয়, বাইরের ব্লক থেকে জুনিয়রদের ধরে এনে এ ২ ব্লকে ভয়াবহ র্যাগিং করা হত। বাকি ব্লকগুলিতে হস্টেল সুপারদের নজরদারি থাকলেও এ ২ ব্লকে প্রবেশ করতে পারতেন না সুপার। কমিটি ১৪৪ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাতে অনেক ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে অভ্যন্তরীণ কমিটি। এর পাশাপাশি এফআইআর করারও সুপারিশ করা হয়েছে। এ🅘র আগে কর্ম সমিতির বৈঠকে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ১৩ জ🌸ন ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত হস্টেলে বা ক্যাম্পাসে পড়ুয়ারা ঢুকতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।