সিএনজি গ্যাসের জোগান কেন পর্যাপ্ত নয়? এই প্রশ্ন তুলে অ্যাপ–ক্যাব চালকদের একটা বড় অংশ রুবি মোড়ে পথ অবরোধ করেন। তবে যেদিন এটা করলেন তাঁরা সেদিন ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই পথ অবরোধের জেরে ইএম বাইপাসের রুবি মোড়ে যানজট দেখা দেয়। আর এমন আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। অবশেষে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। কিন্তু গ্যাসের জোগানের সমস্যা যেমন ছিল তেমনই রয়েছে বলে অভিযোগ। এবার সেই সমস্যা মেটাতে এবং চার দফা দাবি নিয়ে রাজ্যের পরিবহণ সচিবকে চিঠি দিল ‘অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’। আর এই চিঠি দেওয়া হয়েছে সিএনজি গ্যাস চালিত অ্যাপꦿ ক্যাব চালকদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে।
এদিকে ওই চিঠিতে পরিষ্কার প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘সিএনজি গ্যাসের জোগান কেন পর্যাপ্ত নয়? কবে থেকে পর্যাপ্ত হবে সিএনজি গ্যাস।’ এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সরকারের উৎসাহে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সি🉐এনজি চালিত গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে জ্বালানির জোগান নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রত্যেকদিন। অ্যাপ ক্যাব চালকদের দৈনিক তিন–চার ঘণ্টা নানা পাম্পে লাইন দিতে হচ্ছে। তার ফলে পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। তার উপর চালকরাও যথেষ্ট বিশ্রাম পাচ্ছেন না। সিএনজি গ্যাস পর্যাপ্ত পরিমাণ মিলছে না বলে অভিযোগ। শহরের অন্তত চারটি পাম্পে সিএনজি গ্যাসের জোগান বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে এই গ্যাস নিতে গিয়ে একদিকে যেমন সময় চলে যাচ্ছ🔯ে তেমন গ্যাস সব পাম্পে পাওয়া যাচ্ছে না। সিএনজি গ্যাসের জোগান নিয়ে এই হয়রানি কমাতেই চিঠি লেখা হয়েছে পরিবহণ সচিবকে। সিএনজি গ্যাস প্রতিনিয়ত পাওয়ার জন্য অ্যাপ তৈরি করতে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে তা করার কথা বলা হয়েছে। ওই♎ অ্যাপ তৈরি হলে শহরের কোন পাম্পে, কখন, কত পরিমাণে সিএনজি রয়েছে সেটাও জানা যাবে। সিএনজি গ্যাস এখন দুর্গাপুর থেকে সড়কপথে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে আনতে হয়। তাই সমস্যা তৈরি হয়। দ্রুত এই পরিস্থিতির উন্নতি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের ইউসি প্রাপ্তির ৬৫টি চিঠি বিধানসভায় জমা দিলাম’, বড় দাবি পঞ্চায়েত মন্ℱত্রীর
এছাড়া সিএনজি পꦜাম্পের সমস্যা মেটাতে কলকাতা শহরে এবং জেলার কয়েকটি জায়গায় পাম্প বসানো হোক দাবি করেছেন অ্যাপ ক্যাব চালকদের সংগঠন। এই সমস্যা না মেটা পর্যন্ত নতুন সিএনজি চালিত গাড়ি নথিভুক্তিকরণের বিষয়টি যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছে অ্যাপ ক্যাব সংগঠন। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সাধারণ সভায় চালকদের মধ্যে থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। তারপর সেই চিঠি পাঠানো হয় পরিবহণ সচিবকে।