নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছ🔯ে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। সোমবার জামিনের আবেদনের শুনানিতে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এই কথা জানালেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন পার্থ। পালটা ইডির প্রশ্ন, অর্পিতা পার্থর রানি ছিলেন না ভাগ্নি ছিলেন তা ঠিক করতে হবে অর্পিতাকেই।
প্রায় ১০ মাস পর সোমবার কারাগারের বাইরে দেখা যায় অর্পিতাকে। পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত কাপড়ে ঢাকা। মুখে ছিল মাস্ক। এদিন আদালতে অর্পিতার জামিনের আবেদন জানিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। সওয়ালে তিনি দাবি করেন, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। অর্পিতাকে ফাঁসিয়েছেন তিনি। অর্পিতার ক্লাব টাউনের যে ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল সেটি একটি সংস্থার নামে নথিভুক্ত। সেই সংস্থায় ড𝕴ামি ডিরেক্টর করা হয় অর্পিতাকে। পার্থ ও অর্পিতার যে যৌথ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৩টির প্রকৃতপক্ষে অর্পিতার মালিকানাধীন। বাকিগুলির নিয়ন্ত্রণ ছিল পার্থর কাছে। এমনকী অর্পিতার যে ৩১টি জীবন বিমা উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও পার্থ ভুল বুঝিয়ে পার্থ তাঁর নামে করিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।
অর্পিতার আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ𝐆্যায় অর্পিতাকে বলেন, তাঁর স্ত্রী প্রয়াত, মেয়ে প্রবাসী, ফলে জীবন বিমায় অর্পিতার নামে বিনিয়োগ করতে চান তিনি। সঙ্গে তাঁর দাবি, অর্পিতাকে দিয়ে জোর করে বিভিন্ন নথিতে সই করিয়ে নিতেন পার্থ।
পালটা সওয়ালে ইডির আইনজীবী বলেন, অর্পিতা মুখোপাধ🗹্যায় বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে এই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। তাঁকে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন এই মর্মে কোনও অভিযোগ কখনও দায়ের করেননি তিনি। ফলে আমি জানতাম না বলে এখন সাধু সাজলে চলবে না। অর্পিতাকেই ঠিক করতে হবে পার্থ দুর্নীতির রাজা হলে তিনি দুর্নীতির রানি না ভাগ্নী।