বুধবার শাসক–বিরোধী পরস্পরকে চোর বলে স্লোগান তোলার ঘটনা দেখেছিল বাংলার মানুষজন। এবার আজ, বৃহস্পতিবার নতুন 🎃করে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা। থালা–বাঁশি বাজিয়ে ধরনায় বসলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা। তাঁদের দেখে পালটা ‘চোর’ স্লোগান দিয়ে চায়ের বাসন বাজিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপিও। তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ দেখে মেজাজ হারিয়ে বিধানসভা লবির উলটোদিকে ধরনায় বসেন শুভেন্দু অধিকারী। থালার পরিবর্তে বিজেপি বিধায়করা চায়ের বাসন বাজিয়ে শোরগোল ফেলার 🍨চেষ্টা করেন।
এদিকে শীতকালীন অধিবেশন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতাকে। অসভ্য আচরণ করার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার জন্য পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে বিজেপি। আগামী ৪ ডিসেম্বর মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্𝔍ষোভের ডাক দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এই সাসপেনশনের প্রতিবাদে আদালতে যাচ্ছেন বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘তৃণমূলের স𒆙বাই চোর’ বনাম ‘মোদী–অমিত দুটোই চোর’ এই স্লোগানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বাড়তি সংযোজন থালা বাজিয়ে বিক্ষোভ দু’দলের বিধায়করা। আর বিধানসভার বারান্দায় বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে দেখা যায় বাঁশি বাজাতে।
অন্যদিকে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ নিয়ে আজ ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হল মামলা। বিধানসভার অধ্যক্ষ যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তালিকায় আছেন শঙ্কর ঘোষ, মনোজ টিজ্ঞা, শুভেন্দু অধিকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম কোনও এফআইআরে যুক্ত🃏 করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তাই অভিযোগে শুভেন্দুর নাম থাকলেও এফআইআরে তাঁর নাম নেই। পুলিশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পার🉐ে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রী বলব কেন?’ পয়েন্ট অফ অর্🧸ডার তুলে 🐠ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কের
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা বিক্ষোভ থেকে স্লোগান উঠল, ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর বিজেপির সবাই চোর।’ ‘বাপ চোর বেটা চোর’—তৃণমূল কংগ্রেসের এই স্লোগান শুনে মেজাজ হারান শুভেন্দু। স্লোগানের তালে তালে বাজানো হচ্ছে থালাও। তখন লবিতে গিয়ে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কদের বিক্ষোভ শুরু হয়। পাল্টা হিসেবে বিজেপির শিবির থেকে স্লোগান তোলা হয়, ‘দিদি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর’। বিধানসভায় যে এমন ক𒈔াণ্ড ঘটতে পারে তা অনেকে কল্পনা করতে পারেননি। কৌতূহলী জনগণ বিধান𓃲সভার বাইরে থেকে উঁকি মেরে দেখতে থাকেন তামাশা।