ভাইফোঁটার দিন যে ভাইকে দিদির কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল ঘাতক বাস তার তদন্তে নেমে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু ট্র্যাফিক বিধি লঙ্ঘনই নয়, বৈধ পারমিট ছিল না এই বেসরকারি বাসটির। সেই অবস্থাতেই কলকাতা শহরে বুক ফুলিয়ে ছুটে চলেছিল। এমনকী অন্য রুটে ছুটে চলেছিল এই ঘাতক বাসটি। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এই তথ্য মিলেছে। গড়িয়া স্টেশন–বাগবাজার রুটে চলাচলের কোনও রুট পারমিট ছিল না বলেই খবর। বাঘাযতীন উড়ালপুলে স্কুটার চালককে 🌞পিষে দিয়েছিল এই বেসরকারি বাসটি।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ডব্লিউবি–০৭ জে–২৮২৬ বাসটি ভারত স্টেজ–৩ মডেলের। ২😼০১৬ সালের ১ এপ্রিল এই বাসের পারমিট রেজিস্ট্রেশন হয় সল্টলেক এআরটিও’র অধীনে। এই বাসটি সরকারি নথিতে নীল এবং হলুদ রঙের উল্লেখ রয়েছে। এই বাসের আসল রুট পারমিট ছিল— রাজচন্দ্রপুর থেকে আলিপুর কোর্ট। আর তা⛦ গোপন করে এবং রং পাল্টে বাসটি বাগবাজার–গড়িয়া স্টেশন রুটে ছুটছিল।
কেমন রং করা হয়েছিল? অভিযোগ, নীল–হলুদ রং পাল্টে নীল–সাদা রং করা হয়। যা কার্যত সরকারি রং। শুধু তাই নয়, এই বাসের শংসাপত্রের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ফুরিয়েছে। তবে বাসটির রোড ট্যাক্স, বিমা এবং দূষণ সংক্রান্ত নথির মেয়াদ ছিল। তবে কেন এই কাজ করা হয়েছিল তা এখনও জানত꧙ে পারেনি পুলিশ। কারণ চালক এখনও ফেরার। কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করা গেলেও এই বিষয়ে সে বিশদ জানে 🌟না বলেই খবর।
এই বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘এমন কি꧙ছু বাসমালিক স্থানীয় স্তরে যোগসাজশ করে পারমিট ছাড়াই বাস চালান। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ওই সব বাস নিয়ে অস্বচ্ছতার একাধি🔜ক অভিযোগ রয়েছে।’ সূত্রের খবর, বেশি মুনাফা করতেই এভাবে বাসটি রাস্তায় চলছিল।