কলকাতায় দূষণ নিয়ে উদ্বেগজনক ছবি ওধরা পড়েছে। গত রবিবার বিশ্বের দূষিত শহরগুলির মধ্যে তৃতীয় নম্বরে ছিল কলকাতা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিবেশবিদরা। তার ওপর আর কয়েকদিন পরে কালীপুজো। তাতে দূষণ আরও বাড়বে। কিন্তু তার আগেই দূষণে জেরবার কলকাতা। বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাতাসের গুণগত মান ২০০ থেকে ৪০০ একিউআইয়ের (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। যার মধ্যে বালিগঞ্জে দূষণ সবচেয়ে বেশি ছিল। এই এলাকায় একিউআই ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ এর মধ্যে। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রশাসনের মধ্যে।
আরও পড়ুন: বরুণদে⛄বের কৃপায় ধুয়েমুছে গেল দূষণ, ধন🌞তেরাসের সকালে নির্মল আকাশ দিল্লিতে
বৃহস্পতিবার শহরে বায়ু𒉰দূষণ মাপার ৭ টি স্টেশনের মধ্যে ৬টি স্টেশনে একিউআই ছিল ২০০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে। চলতি মরশুমে এই প্রথম বালিগঞ্জ এলাকায় দূষণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। যার সুস্থ মানুষেরও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। বৃহস্পতিবার ফোর্ট উইলিয়ামে গুণগত মান ছিল ১০০ থেকে ২০০ এর ♈মধ্যে। শুধু তাই নয় শহরের ফুসফুস ময়দানেও বাতাসের গুণগতমান খারাপ ছিল। শহরের আরেকটি সবুজ অঞ্চল রবীন্দ্র সরোবরে আগের সপ্তাহে বাতাসে গুণগত মান সন্তোষজনক থাকলেও বৃহস্পতিবার বাতাসের গুণগতমান ছিল খারাপ। পরিবেশবিদদের মতে, দুর্গাপুজোর পর প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো হয়েছে যার ফলে বাতাসে দূষণ বেড়েছে। তারপর কালীপুজোর সময় প্রতি বছর নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো হয়। এ বছর তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে ওই সময় দূষণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।
শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাꦇবনা করছে কলকাতা পুরসভা। সেক্🐟ষেত্রে স্প্রিঙ্কলার চালানো, গাছে জল দেওয়া, রাস্তাঘাটে ধুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত জল দেওয়া, আগুন নেভানো প্রভৃতি পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শীতকালে রাস্তাগুলি ধোয়ার পাশাপাশি, লম্বা গাছ ধোয়া হয়ে থাকে। মেয়র পরামর্শ দিয়েছেন, রাতে গাছের শুকনো পাতা পোড়ানো হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পুলিশকে নজর রাখতে হবে। এছাড়া আবর্জনা পোড়ানোর ফলে দূষণ তৈরি হয়। বিশেষ করে ধাপায় বর্জ্য পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষণ বেড়ে যায়। তাই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আগুন নেভানোর জন্য নিয়মিত জল বলা হয়েছে।