রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচജার্য নিয়োগ করে আইন ভাঙছেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার এমনই মতপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর মতে রাজ্যের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। একই সঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, সরকারের উচিত যাদবপুরের মতো ঘটনা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে।
উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। মধ্যরাতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে 'ভ্যাম্পায়ার' বলতেও ছাড়েনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্𝔍ত্রীর বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন,'অন্য রা🏅জ্যে রাজ্যপালই রাজ্যের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করেন। তাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তাঁর অধিকারের মধ্যে থেকেই উপাচার্য নিয়োগ করছেন। তাঁকে আক্রমণ না করে রাজ্যের উচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা আটকাতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিরাপত্তায় জোর দিতে।' দলের একটি সাংগঠনিক অনুষ্ঠানের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
(পড়তে পারেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী✤র আলোচনা সভায় হাজির উপাচার্যদের একাংশ, নিয়োগকাণ্ডে নয়া মোড়!)
যে পদ্ধতিতে রাজ্যপাল অস্থায়ী উপচার্য নিয়োগ করছেন করছেন তাতে প্রথম থেকে খুশি নয় রাজ্য। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা দফতরকে এড়িয়েই একের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচর্য নিয়োগ ♊করে চলেছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি মধ্যরাতে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করেও সংঘাত চরমে উঠেছে।
𝔍এর আগে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান শহরের পাঁচতারা হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মূলত শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনামূলক একটি অনুষ্ঠান ছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল নতুন🐬 নিয়োজিত উপাচার্যদের একাংশ। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপচার্যদের এই উপস্থিতি নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালের পাশেই আছে কেন্দ্র।