কৃষকদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে এবার বিরাট বরাদ্দ করা হল। মুখ্য়মন্ত্রী সেই ক𝓀থাই ঘোষণা করেছেন বৃহস্পতিবার।
রাজ্যের মোট ১কোটি ৯ লক্ষ কৃষককে ২৯৪৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে। শুক্রবার থেকে এই অর্থ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যেতে শুরু করবে। তবে ঘোষণার সময় ত🐽িনি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চলতি বছরেই শুধুমাত্র কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ৫৮৫৯ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হল। এই অর্থ সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের। এর মধ্য়ে ཧকেন্দ্রের কোনওরকম সহায়তা নেই। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রী এদিন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়, কৃষি বিপননমন্ত্রী বেচারাম মান্না, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ 🐲মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। রবি মরসুমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য এই বিরাট বরাদ্দ করা হয়েছে।
২০১৯ থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল। এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে ২১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হল। সেই সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই টাকাও 𝓀রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়।
তবে এবারই প্রথম নয়, মুখ্য়মন্ত্র𒅌ী বার বারই কৃষকদের জন্য নানা ঘোষণা করেন। অনেকের মতে, সিঙ্🎃গুরের কৃষকদের পাশে থেকে আন্দোলন করেই একদিন মহাকরণের দখল নিয়েছিল তৃণমূল। সেই কৃষকদের পাশে থাকার জন্য় চেষ্টা কোনও কসুর করে না বর্তমান সরকার।
এর আগে ২০২৩ সালে পুজোর মুখে বড় ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা💛য়। ২.৪৬ লাখ কৃষকের ঘরে হাসি ফুটেছিল সেবার। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রীর দাবি, বৃষ্টির ঘাটতির জন্য যে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পাশে থাকবে সরকার। কীভাবে সেটাই জানিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছিলেন, আমরা ১৯৭ কোটি টাকা ছাড়ছি। ২ লাখ ৪৬ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক যারা বৃষ্টির ঘাটতির জন্য ধান বুনতে পারেননি তাদের সহায়তা করবে সরকার। এটা বাংলা শস্য বিমার আওতায় দেও🥂য়া হবে। এটা পুরোপুরি রাজ্য সরকারের ফান্ড। শস্য বিমা যোজনার আওতায় এই ফান্ড দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারই গোটা প্রিমিয়ামটা দেবে। কৃষকদের এক পয়সাও দিতে হবে না।
সেই সঙ্গেই মুখ্য়মন্ত্র🐠ী লিখেছিলেন, ২০১৯ সাল থেকে এই স্কিমের শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮৫ লাখ কৃষককে ২৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছে।