সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, বিজেপির আসন সংখ্যা কমে ১২টি হয়েছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটাই ছিল ১৮। কেন কমল পদ্মের ফলন? আজ, শনিবার এই নিয়েই প্রথম বৈঠকে বসেছেন রাজ্💧য বিজেপির নেতারা। যেখানে উপস্থিত হননি খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন জিতেছে বাংলা থেকে। কিন্তু তারপরও বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এবং আমলারা বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে তাঁর দাবি।
আজ, শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমন নানা কথা পোস্ট করেছেন অমিত মালব্য। যদিও তাতে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ সামনে চারটি বিধানসভার উপনির্বাচন আছে। সেখানের ফলাফলই বলে দেবে কাদের পায়ের তলার মাটি শক্ত এবং আলগা। ইতিমধ্যেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে তা স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘রাজ্যের নেতারা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমলারা নিয়মিত মমতার পদক্ষেপের বিষয়ে আমাদের জানাচ্ছেন। ভোটের ফলের পর একাধিক বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমলাদের ও বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক। ওই বৈঠকে মোবাইল ফোন ভিতরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না।❀’
নবান্ন সূ্ত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শপিং ফেস্টিভ্যাল করার বিষয়ে। আর আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভোট পরবর্তী হিংসা যাতে না হয়। আর অমিত মালব্য দাবি করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছেন। সেটা তিনিও খুব ভালো মতো জানেন। ভয় দেখাতেই এই সব 🐓বৈঠক করা হয়েছে। উনি জানেন পশ্চিমবঙ্গের পুরো আমলাতন্ত্রের খবর ফাঁস হয়ে যাচ্ছꦕে। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আমলারা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গতিবিধির খবর দিচ্ছেন। একজন আমলা যেমন বলেছেন, আমি কখনও ভাবিনি যে জ্যোতিবাবু ক্ষমতাচ্যুত হবেন। কিন্তু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ক্ষেত্রেও শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু, কেন এল𝔉েন না বিরোধী দলনেতা?
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলার একটি নির্বাচনেও জয় পায়নি বিজেপি। সদ্য লোকসভা নির্বাচনেও আসন কমেছে বিজেপির। সেটা ঠেকাতেই আবার এসব বলছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের মত। যদিও এমন বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হারানো জমি ফেরাতে প𓆏ারবেন না বলে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন অমিত মালব্য়। এই মন্তব্যের পর অমিত মালব্যকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু সেন। তাঁর পালটা কটাক্ষ, ‘অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ করেছেন তাঁরই দলের এক নেতা। ওই নেতা বলেছেন, পাঁচতারা হোটেলে অমিত মালব্যকে মহিলা সাপ্লাই দিতে হতো।’