✤ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। জেতা আসন ধরে রাখা তো দূরের কথা ৬টি আসন আরও কমে গিয়েছে। তাই নির্বাচনের পর নতুন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা। এই ইস্যুকে সামনে রেখে রাজভবনের দুয়ারে শুভেন্দু অধিকারী ধরনায় বসতে চায়। যেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে ধরনা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর এখনও ধরনা নিয়ে কাটল না জট। দিনক্ষণ ঠিক করতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। আর এই তারিখ নিয়েই আইনজীবীর সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
🍒এদিকে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে চায় বিজেপি। কিন্তু রাজ্যপাল এখন চলে গিয়েছেন নয়াদিল্লিতে। সুতরাং এখন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ধরনায় বসে বিশেষ লাভ হবে না। তার উপর রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। তাই কলকাতা পুলিশ সেখানে ধরনায় অনুমতি দেয়নি। অনুমতি না পেয়েই পুলিশের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিজেপি যুক্তি দেখাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রাজভবনের সামনে পাঁচদিন ধরনায় বসেছিলেন। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়নি। আর বিজেপি ধরনায় বসতে চাইলেই শুভেন্দুকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: 💙বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙতে নামল বুলডোজার, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে ধুন্ধুমার তারাতলা
🗹অন্যদিকে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে রাজভবন চত্বরে ধরনার অনুমতি মেলে। তবে জানানো হয়, আগামী রবিবার ৩০ জুন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে ধরনায় বসতে পারেন। এই বিষয়ে আজ নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিষেকরা যখন রাজভবনের সামনে ধরনা দেয় তখন ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল না। আর আজ যারা সেখানে ধরনা দিতে চাইছে তাদের জেনে রাখা দরকার ওখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। যা ইচ্ছে করা যায় না।’
🅺যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানান, এই রবিবার ধরনা বসতে চান না বিজেপি নেতারা। তার বদলে শনিবার ধরনায় বসতে চান। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান থাকায় এই পরিবর্তন চাওয়া হচ্ছে। আর কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ, আগামী ৭ জুলাই অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘আমাকে রাজ্যের কাছ থেকে নির্দেশিকা নিয়ে আদালতকে জানাতে হবে।’ আগামী মঙ্গলবার আবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই তারিখ ঠিক হবে ধরনার। তাই ধরনার ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে। কদিন আগেই রাজ্যে এসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। যদিও তাদের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।