আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে বাংলায়। তার জেরে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ তা ৪১ দিনে পড়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার এই ইস্যুকে কাজে লাগাতে স্বাস্থ্য দফতরের ‘টেন্ডার’ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারী জানান, টেন্ডার না ডেকেই একাধিক কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি নথি হাতে নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন তাঁর পা🍨শে ছিলেন বিജজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও।
এদিকে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির নামে দুর্নীতি চলছে। এদিন নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দুর অভিযোগ, 👍‘স্বাস্থ্য দফতরের সবচেয়ে বেশি টেন্ডার দেওয়া হয়েছে ভাইপোর আত্মীয়ের কোম্পানিকে। এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে এই শাসকদলের নেতা মন্ত্🌠রী দুর্নীতি করেননি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে। এসপি দাশের হাত সন্দীপ ঘোষের মাথায় ছিল। তাই একসঙ্গে তিনটি চাকরি পেয়েছিলেন। ওখানের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আখতার আলি দীর্ঘদিন লড়াই করছেন। এবার তাঁরাও নথি প্রচারের আলোয় আনবেন।’
আরও পড়ুন: ‘জল ঢুকেছে আমার বাড়িতেও’, বন্যা দুর্গতদের পাশে নিয়ে কালীঘাটের কথা মমতার মুখে
অন্যদিকে গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশই। তার পর থেকেই কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, ‘আমাদের কাছে সব নথি আছে। কোভিডের সময় থেকেই দুর্নꦚীতি পরিমাণ বেড়েছে। আরজღি কর হাসপাতালে সংস্কারের নামে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। সেটা নিয়ে তিনটি এফআইআরও হয়েছে। ইডি যার তদন্ত শুরু করেছে। স্বাস্থ্য ভবনে নিয়োগেও এনআরআই কোটায় চরম দুর্নীতি হয়েছে।’
এছাড়া আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে এখন জট কাটার চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক দাবি মেনে নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। গ্রামবাংলায় এখন বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই মানুষের সেবায় কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। আর এই আবহে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবকিছু জানতেন। ওঁর নির্দেশেই স্বাস্থ্য দফতরে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। শাসকদলের একাধিক নেতা–মন্ত্রীর ছেলে ডাক্তারিতে সুযোগ পেয়েছে পিছনের দরজা দিয়ে।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাꦛল ঘোষের কথায়, ‘বাজার গরম করছেন কেন? তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিন। তথ্যের সারবত্তা থাকলে তথ্য দিন। বাইরে বাজার গরম করে কী লাভ?’