এখন বিজেপির ঘুম কেড়ে নেওয়া অনুব্রত মণ্ডল দিল্লিতে। ইডির হেফাজতে ไরয়েছেন বীরভূমের কেষ্ট। এই দিল্লি যাত্রা সুনিশ্চিত হতেই বিজেপির মধ্যে উল্লাস ফেটে পড়েছে। কেউ গঙ্গা জল দিয়ে আসানসোলে জেল সংলগ্ন রাস্তা ধুয়েছেন, কেউ চড়াম চড়াম ঢাক বাজিয়েছেন। আর গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ খোঁচা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলকে। এই ঘটনার পরই এখন অনুব্রতহীন বীরভূম। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নয়াদিল্লিতে ইডির হেফাজতে। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রতহীন বীরভূমে কি বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীক🐎রণ?
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে একটু হলেও চাপ অনুভব করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার নেতৃত্ব। তাই সেখানের কোর কমিটিকে লাগাতার কর্মসূচিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে গরু পাচারকাণ্ডে ইডির মামলায় সেই দিল্লিতে যেতেই হল অনুব্রত মণ্ডলকে। এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতারা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কটাক্ꦯষ, ‘আজ হলিতে কেষ্ট তো দিল্লিতে। ওকে যেতেই হ🎐তো’। এখন আসানসোল জেলের বাইরে আর কেষ্ট দার পরামর্শ পাবেন না কেউ।
অন্যদিকে গত বছর ১১ অগস্ট, বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে সিবিআই–এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনু♐ব্রত মণ্ডল। ১৭ নভেম্বর, আসানসোল জেলেই তাঁকে গ্রেফতার করে এনফো🍎র্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। এখন তিনি তিহাড় জেলে রয়েছেন। সেখানে অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল কং🍰গ্রেস সূত্রে খবর, এখন আরও বেশি করে কাজ করবেন এখানের বিধায়ক–সাংসদ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ঠান্ডা ছিল বলে ডিসেম্বরে নিয়ে যায়নি। এখন গরম পড়েছে আরামে গিয়ে থাকতে পারবেন। দিল্লির লস্যি খাবেন, সুখেই থাকবেন। কিন্তু মমতার চিন্তা বীরভূমের ভোটটা কে করাবেন। এক পূর্ণিমায় গ্রেফতার, আর এক পূর্ণিমায় জেলে গেলেন। পাপ বাপকেও ছ✤াড়ে না।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বা🅠ংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup