আজ, রবিবার কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আগামীকাল, সোমবার শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করবেন তিনি। ফলে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার প্রাক্কালেই বাঁধল বিতর্ক। কারণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ওই প্রকল্প বাস্তবের আলো দেখেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন🍃্ত্রী থাকাকালীনই। তাই কেন্দ্রীয় সরকার অসৌজন্য দেখিয়েছে বলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলছেন দিলীপ ঘোষ? বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ মা জানানোর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, বানিয়ে দিচ্ছে, তারা উদ্বোধন করবে, ওর (মমতা) তো কেন্দ্রের টাকা দরকার। ওটা নিয়ে নিন, বাকি তো কোনও সৌজন্যবোধ নেই। এখানে রাজ্য সরকারের এত অনুষ্ঠান হয়। প্রশাসনিক বৈঠক হয়, কোনও দিন ভুল করেও আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে জানিয়েছেন। আমরা তো নির্বাচিত প্রতিনিধি। এখানকার উন্নয়নে আমাদের অংশꦕগ্রহণ ও মতামতের প🌠্রয়োজন আছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দিন ডাকে না। তাই ওদের সঙ্গেও এরকমই ব্যবহার করা ঠিক। ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমি বলছি, কোনওদিন যেন না ডাকে।’
কী কটাক্ষ মেদিনীপুরের সাংসদের? শিয়ালদহ ম🌱েট্রো স্টেশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব করেছিলেন। আর মানুষ সবটাই জানে। এই বিষযে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘প্রস্তাব তো উনি করেন। ভানু যেমন করতেন, এখানে ধর্মশালা বানিয়ে দেব, যমালয়ে গিয়ে বলেছিলেন আমি এই বলে এসেছি, এই করেছি, করেননি কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকতে হাজার হাজার পাথর লাগিয়েছিলেন, তার নামটা দেওয়ার জন্য। করতে পারেননি কিছুই𝕴। এখন বিজেপি করছে। ওর যদি এরকম মনে হয়, তাহলে এই মেট্রোতে তৃণমূলের লোকেরা যেন না চড়ে। আꦰমি বলছি এটুকু যদি তোমাদের মান মর্যাদা থাকে, কেন্দ্রের জিনিস নেবে না, তাহলে চড়বে না ওখানে, তাহলে বলবো বাপের বেটা।’
উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে কলেজ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কী বলবেন? এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ সুর চড়িয়ে বলেন, ‘এখন যেমন রাস্তার ধারে সব জায়গায় সবজি পাবেন, তেমন আগ্নেয়াস্ত্র বাংলার সব জায়গায় পাবেন। তাই আপনারা টাকা দিন লোক আছে পৌঁছে দিয়ে যাবে। তারপর যা ইচ্ছা করಌুন, যে সে মেরে দিচ্ছে যাকে তাকে। যেখানে সেখানে গুলি চলছে। আজকে 𒊎যখন তৃণমূলের লোকেরা মারা যাচ্ছে, তখন চিৎকার করছে। আর যখন বিজেপির লোকেরা মারা যাচ্ছিল, কোন সমস্যা ছিল না। সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছিল কোন সমস্যা ছিল না।’