বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আটটি রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে বাংলা ছাড়া করা হয়েছে। বঙ্গ–বিজেপির অনেক নেতাই এখন এই কথাই বলছেন আড়ালে–আবডালে। এই খবর সবাই জা♐নেন দিলীপ ঘোষকে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কখন দেওয়া হল? নয়াদিল্লিতে বসে যখন তিনি সাংবাদিকদের বললেন, শুভেন্দু অধিকারী জননেতা নন, মেদিনীপুরের নেতা। এই মন্তব্য করার পর সব ওলটপালট হয়ে গেল। তাতে কেউ বলছেন দিলীপের উত্থান, কেউ বলছেন বাংলা ছাড়া করা হল।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ দক্ষ সংগঠক এটা কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতারাও জানেন। আর তাঁর♌ সঙ্গে বঙ্গ–বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্তদের ঠিক মিল হচ্ছে না। আবার বাংলা নিয়ে শুধু পড়ে থাকলে হবে না। কারণ 🌳এখান থেকে এখন কিছু পাওয়ার নেই। বরং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতেই হবে। তাই মোট আটটি রাজ্যে বিজেপিকে বুথ স্তরে শক্তিশালী করতে দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা এবং অসম।
এখন দিলীপ ঘোষ কী বলছেন? 💯এই বিষয়টি নিয়ে বিন্দুমাত্র ✱মাথা ঘামাতে নারাজ মেদিনীপুরের সাংসদ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটা বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। আমি বাংলাতেই আছি। বাংলার যেখানে খুশি যাব। আমাকে কে আটকাবে? দিল্লি থেকে ফিরেই আমার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে রাজ্যে। উত্তরবঙ্গেও যাব।’ এই মন্তব্য কার্যত হুঁশিয়ারি হিসাবেই দেখছেন রাজনৈ🌄𝔍তিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, বুধবার নয়াদিল্লিতে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান কর্মসূচি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা–মন্ত্রীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির বুথস্তরের সং🧸গঠনকে আরও শক্তিশালী করতে বলা হয়েছে। তার প্রধান কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তাহলে কে থাকছেন বাংলার দায়িত্বে? সূত্রের খবর, সম্ভবত ওড়িশার বিজেপি নেতা বৈজয়ন্ত পান্ডা থাকবেন দায়িত্বে। সুতরাং বঙ্গ বিজেপিতে ফের সামনে আসছে বহিরাগত তত্ত্ব।