কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ করেꦑ গুলি চালানো তথা খুনের চেষ্টার ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। তাঁর সরাসরি অভিয💃োগ, 'তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট রাজ কায়েম হয়েছে।'
তিনি আরও লেখেন, তৃণমূল🧸ের জমানায় বাংলায় 'জুলুমবাজি' শুরু হয়েছে। শাসকদলের ঘনিষ্ঠরা যে নানা অছিলায় টাকা তুলছেন, সেই অভিযোগ আগেও করেছে বিজেপি। এদিনের পোস্টে সেকথা আরও একবার উল্লেখ করেছেন সুকান্ত।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জেরে 'আমজনতা বা সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ🦹্ন উঠতে শুরু করেছে'!
এর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর🐠কারের অধীনে থাকা প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন সুকান্ত। তাঁর মতে, দাগি অপরাধীদের নানাভাবে 'প্রোমোশন' দিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসন শাসকদলের অনুগত হওয়ায় সেইসব অপরাধীরা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ𝄹্ছে।
পুলিশকে সরাসরি নিশানা করে সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, ভয়ে হোক বা ব্যক্💛তিগত স্বার্থরক্ষার তাগিদে, পুলিশ যতটা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তুষ্ট করতে ব্যস্ত, নাগরিকদের প্রাপ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে ততটা নয়। ফলত সাধারণ মানুষের বিপদ যে বাড়ছে, সেই বার্তাও দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভ🌠াপতি।
প্রসঙ্গত, কসবার ঘটনায়ꦦ অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার 'মূলচক্রী' আফরোজকে পর্যন্ত গ্রেফতার করে ফেলেছে পুলিশ।
কি🌸ন্তু, ঘটনার তদন্তে জানা গিয়েছে, একপ্রকার অপারগ হয়েই ন𝓡াকি সুশান্ত ঘোষকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো বেপরোয়া ও ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি!
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, আফরোজের জ꧃মি দখল করে সেখানে ফ্ল্যাট বানানোর মতলব করেছিলেন সুশান্ত ঘোষের এক অনুগামী। আফরোজ সেটা মেনে নিতে পারেনি বলেই সুশান্তকে খুনের ছক কষেন! তবে, শেষ মুহূর্তে ভাড়ার গুন্ডার ♏আগ্নেয়াস্ত্র কাজ না করায় সুশান্ত ঘোষ প্রাণে বেঁচে যান।
আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। প্রশ্ন ♒তুলেছেন রাজ্যের 'সিন্ডিকেট রাজ' নিয়ে। এই ঘটনায় পুলিশের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েও বিজেপি নেতা জানতে চেয়েছেন, সুশান্তর সঙ্গে যা ঘটেছে, তা যদি কোনও আম-আদমির সঙ্গে ঘটে, তাহলেও কি উদ্যোগ দেখাবে পুলিশ?
সব শেষে সুকান্ত লিখেছ✨েন, 'এই প্রশ্নের উত্✃তর জানার অধিকার বাংলার মানুষের আছে। এবং তাঁদের এই আতঙ্কের রাজত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার অধিকারও আছে।'