একুশের নির্বাচনের পর থেকেই অন্যান্যদের মতো তিনিও বেসুরো গাইছিলেন। অবশেষে আজ তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে সেফ হোম হিসাবে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু ফলাফল বেরোতেই মোহভঙ্গ হল 🔜তাঁর। বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও গোহারা হয়েছিলেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ায় তাঁকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? সুকান্ত মজুমদার আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সব্যসাচী কোনওদিন আমাদের দলে থেকে নির্বাচনে জেতেননি। ওঁর মতো কিছু নেতা যাঁরা এখন দল ছেড়ে যাচ্ছে তাঁরা থাকতে আমরা ভাল পারফর্ম করতে পারিনি। এঁরা থাকতে ভাল ক𓄧াজ করতে পারিনি। দল ওঁকে সম্মান দিয়েছিল। রাখতে পারলেন না। ওঁর সঙ্গে দলের কোনও আত্মিক সংযোগ ছিল না। এইসব নেতারা ছাড়াই বিজেপি লড়াই করে ১৮টা আসন জিতেছিল। যাঁরা চলে যাচ্ছেন তাঁদের অনুপস্থিতিতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।’
এই সব্যসাচীকেই💮 দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর জন্য যজ্ঞ করতে। এই সব্যসাচীকেই দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে। এই সব্যসাচীকেই দেখা গিয়েছিল সুজিত বসুর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে। আর নির্বাচনের ফলাফল বেরোতেই আজ তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত আসতে দেখা গেল। যাতে আসতে পারেন তার জন্য বার্তাও পাঠিয়েছিলেন। তাই তো মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিয়েছিলেন, ‘সব্যসাচী কী সত্যিই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চায়?’ তবে সব্যসাচীর দলে ফেরার পেছনে মুকুলেরই হাত রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘജাসফুলের পতাকা তুলে নিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা। সব্যসাচীকে উত্তর–পূর্বে কোনও বড় দায়িত্ব দিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন সব্যসাচীকে আবার প্রমাণ করতে হবে বলে মনে করছেন দলের অনেকেই। তবে সব্যসাচীর সাফ বক্তব্য, ‘মমতাদির জন্যই আমি সবকিছু পেয়েছি। তাই ফিরে এসেছি।’