কোভিড অতিমারীর জেরে দুর্গাপুজো ও তার পরেও ফাঁকꦐা গিয় কলকাতায় যাতায়াতকারী বিমানের আসন। ফলে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন উড়ান সংস্থাগুলি।
প্রতি বছর পুজোয় ভ্রমণার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে বিমানবন্দরে। ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সফরে দলে দলে পর্যটক কলকাতা থেকে পাড়ি জমান দেশে-বিদেশে। আবার ছুটির মেয়াদ ফুরোলে বাড়ি ফেরার তাড়ায় বিমানের আসনে জায়গা পাওয়াই 🤡সমস্যা হয়ে ওঠে।
চলতি কোভিড অতিমারী পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতি♑ক বাণিজ্যিক উড়ান আপাতত বন্ধ রয়েছে। কলকাতা থেকে এবং কলকাতায় আসার উড়ানেও আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে দেদার। সংক্রমণের আশঙ্কায় আসলে এ বছর পর্যটন থেকে মুখ ফিরিয়েছেন অধিকাংশ কলকাতাবাসী। ফলে যাত্রীর দেখা মেলেনি বিমানের আসনে।
আবার, লকডাউন শেষে কর্মস্থলে ফেরার প্রবণতা অনেকাংশে কমেছে পরিযায়ী কর্মীদের মধ্যে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বহু সংস্থাতেই কর্ম সংস্কৃতিতে বদল এসেছে। নিজের বাড়িতে বসে কাজ করছেন বহু কর্মী। এর ফলে দূরবর্তী কর্মস্থলে সফরের প্রয়োজনও ফুরিয়েছে। আর এ সবেরই প্রভাবে 🍸মার খাচ্ছে উড়ান ব্যবসা।
এ বার পুজোতেও বিমানের বহু আসন ফাঁকা গিয়েছে, জানিয়েছেন কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সপ্তমীর দিন কলকাতা থেকে বিমানসফর করেছেন ৩১,০০০ যাত্রী। অষ্টমী🦄তে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭,০০০ যাত্রীতে। নবমীতে ২০,০০০ যাত্রী এবং দশমীতে যাত্রীসংখ্যা দাঁড়ায় ২৭,০০০ এর কিছু বেশি যাত্রী। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই সংখ্যা রীতিমতো কম।
বর্তমানে দিল্লি, মুম্বই, পুণে, চেন্নাই, আমদাবাদ ও নাগপুর থেকে সপ্তাহে চারদিন সরাসরি বিমান𓃲 আসার উপরে নিষেধাজ্ꦅঞা জারি রয়েছে রাজ্য সরকারের। শুধু সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার এই শহরগুলি থেকে সরাসরি বিমান আসতে দেওয়া হচ্ছে।
পর্যটন সংস্থার একাংশের মতে, কোভিডের কারণে দেশের অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় বিমানের টিকিটের চাহি꧟দায় ভাটা পড়েছে। আগা𒊎মী শীতের মরশুমে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে তাঁদের আশা।