গত ৬দিন ধরে কলকাতার উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কেমন আছেন তিনি? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের তরফে তাঁর হেলথ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৭৯ বছর বয়সি ব𝔍ুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গত ৬দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। ইন্টারমিটেন্ট নন ইনভ্যাসিভ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি সজাগ রয়েছেন। তিনি চিকিৎসক ও ভিজিটর্সদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন।
এদিন বিকালে তাঁর বুকের ইউএসজি করা হয়। সেই অনুসারে বলা যায় এখনই সꦗক্রিয় কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা ও ফিজিওথেরাপি চলছে। শনিবার পর্যন্ত আইভি অ্যান্টিবায়োটিকস গুলো চলবে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তিনি খাচ্ছেন। তিনি ঠিকঠাক গিলতে পারবেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে। তবে সার্বিকভাবে𒊎 তাঁর পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
প্রসঙ্গত গত ২৯ জুলাই শ্🌟বাসনালীতে সংক্রমণ ও টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিওরের জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিক্যাল টিম তাঁর চিকিৎসা চালাচ্ছে। তাঁর শরীরের অগ্রগতির উপর তাঁরা নজর রাখছেন। সেই টিমে রয়েছে ডাঃ কৌশিক চক্রবর্তী( মেডিসিন), ডাঃ সৌতিক পাণ্ডা( ক্রিটিকাল কেয়ার),, ডাঃ সুস্মিতা দেবনাথ( ক্রিটিকাল কেয়ার), ডাঃ সরোজ মণ্ডল( ইন্টারভেনশানাল কার্ডিওলজি), ডাঃ অঙ্কন🍸 বন্দ্যোপাধ্য়ায়( পালমোনোলজি),ডাঃ ধ্রুব ভট্টাচার্য( ক্রিটিকাল কেয়ার), ডাঃ আশিস পাত্র ( অ্যানেথেসিওলজি), ডাঃ দীপ নারায়ণ মুখোপাধ্য়ায় (ইনফেকশাস ডিসিস স্পেশালিস্ট), ডাঃ সেমন্তী চক্রবর্তী( এন্ডোক্রেনলজি), ডাঃ সোমনাথ মাইতি ( জেনারেল মেডিসিন) ডাঃ সপ্তর্ষি বসু( মেডিক্যাল সুপার, উডল্যান্ডস) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতির উপর সবরকম নজর রাখছেন।
হাসপাতালের সিইও ডাঃ꧟ রূপালি বসু এই প্রেস ব𝓰িবৃতি জারি করেছেন।
তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মোটের উপর আগের থেকে ভালো আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বঙ্গবাসীও তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন। চিকিৎসায় সাাড়া দিচ্ছেন তিনি। চিকিৎসকরা ডাকলেও সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তবে কি শনিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে ? নাকি আরও কয়েকদিন তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে হাসপাতালেই থাকবেন? তবে সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর মেলেনি। তবে আগের তুলনায় স্থিতিশীল আছেন বুদ্ধবাবু,𒈔 এটা স্বস্তি দিয়েছে অনেককেই।
তবে এখনও হাসপাতালে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তবুও শাসকদলের একাংশ নানা কুকথা বলতে ছাড়ছেন না। এনিয়ে নতুন করে নানা প্রশ্🔯ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।