বিএড কলেজগুলিতে কী ধরনের পরিকাঠামো থাকতে হবে? তা নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের (এনসিটিই)। তা সত্ত্বেও বহু বিএড কলেজ চলছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন না মেনেই। বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একাধিক বিএড কলেজের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মা𓄧মলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই সংক্রান্ত মামলাতে উপাচার্যের ভূমিক🦋া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এই মামলায় উপাচার্যকে অবিলম্বে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: অনিয়মের অভি𒀰যোগ, ৯৬ বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল, অনিশ্চিত ২০ হাজার পড়🐓ুয়ার ভবিষ্যৎ
মামলাকারীদের তোলা অভিযোগ অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬০০ থেকে ৬৫০টি বিএড কলেজ রয়েছে। তবে সেগুলির অধিকাংশ কলেজেই এনসিটির গাইডলাইন মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। তা সত্ত্বেও কলেজগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি চলছে কীভাবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মামꦉলাকারী। এছাড়াও অভিযোগ তোলা হয়, এই বিএড কলেজগুলি পড়ুয়🏅াদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা তুলছে। অথচ অনেক কলেজের অ্যাফিলিয়েশন রিনিউ হয়নি বলে সমস্যা হচ্ছে পড়ুয়াদের। তার মধ্যে অনেক পড়ুয়াই পরীক্ষায় বসতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
মামলাকারীদের অভিযোগ, উপাচার্য কোনও কিছু খতিয়ে না দেখেই এইসব কলেজের জন্য অনুমতি দিচ্ছেন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়। তখন প্রধান বিচারপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘উপাচার্য যে কিছু জানেন না এটা হতে পারে না। অবিলম্বে তাঁকে পদ থেকে সরানো উচিত।’ এরপরে রাজ্যের ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে প্রধা❀ন বিচারপতি তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেন, দুর্নীতির জন্য শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, ‘পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বন্ধ। এখন কলেজেও দুর্নীতি। এই কারণেই ছেলেমেয়েরা রাজ্য ছেড়ে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।’ যদিও আইনজীবী জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলায় সওয়াল করছেন উপাচার্যের হয়ে নয়। প্রধান বিচারপতি এরপর রাজ্যের পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চান রাজ্যের আইনজীবীর কাছে। দুসপ্তাহ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন কলেজের কয়েকজন বিএড পরীক্ষার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রেই টাকা নিয়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিল।