কারাগারে বন্দিদের অবস্থা নꦰিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে প্রতিদিন বন্দিদের স্নানের ব্যবস্থা নেই বলেই জানতে পেরেছিল আদালত। তার ভিত্তিতে বন্দিদের প্রতিদিন স্নানের ব্যবস্থা করানোর বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গুরুতর অসুস্থ বন্দিদের সঙ্গে সঠিকভাবে আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে খতিয়ে দেখে বিচারাধীন বন্দিদের জামিন এবং দোষীদের জন্য প্যারোল বিবেচনা করতে বলেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: প্রিজন ভ্যানের মধ্যে মহিলা বন্দী♛কে 'গণধর্ষণ', BJP রাজ্য বলে চুপ কমিশন? তোপ TMC-র
অভিযোগ উঠেছিল জেলে থাকা অবস্থাতেই অসংখ্য মহিলা বন্দি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। সেই সংক্রান্ত অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে চলতি বছরের শুরুতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এই মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চ গঠন করেন। এই সংক্রান্ত মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সুস্বাস্থ্য থাꦇকা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। ফলে প্রতিদিন বন্দিরা যাতে স্নান করতে পারেন তার জন্য পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৮৯৪ সালের জেল ক🦹োড অনুযায়ী বন্দিদের জন্য প্রতিদিন শুধু তাদের মুখ এবং হাত ধুয়ে ফেলার অনুমতি ছিল। তবে গরম আবহাওয়া থাকলে বা নোংরা কাজে লাগানো 🧸হলে বন্দিদের স্নানের অনুমতি দেওয়া হতো। এখন এই নিয়ম অনুসরণ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি বাগচী।
উল্লেখ্য, রাজ্যের কয়েদিরা তাঁদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা ত🔯ার জানা জন্য আদালতবান্ধব নিয়োগ করে কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের খাবার-দাবার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা পাচ্ছেন, তাঁদের জীবনযাপনে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তা দেখার কাজ এই আদালতবান্ধবের।
আদালতে তাঁর জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর অবধি রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে ১৯৬ জন শিℱশু জন্ম নেয়। এরই মধ্যে, আলিপুর মহিলা জেলেও এক জন বন্দি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তার পর ৮ ফেব্রুয়ারি এর বিচার চেয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রসঙ্গক্রমে, এই ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। সব রাজ্যের কাছে জেলবন্দি মহিলারা কী অবস্থায় রয়েছেন তার রিপোর্টও তলব করেছিল শীর্ষ আদালত।