মুর্শিদাবাদের 𓆏নবগ্রামে লক আপে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। সেই ঘটনায় আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল নবগ্রাম থানার ওসি অমিত কুমার ভক্তকে। আর এবার প্রশ্ন উঠেছে থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে। এর প্রেক্ষিতে ওই থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে বলল আদালত। উল্লেখ্য, এই ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। তা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। সেই মামলায় থানার অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি ঘটনার আগে ও পরে তিন দিনের সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই ঘটনাকে ‘যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতে মৃত্যু, তদন্তের গাইডলাইন ম💟েনে সাসপেন্ড নবগ্রাম থানার ওসি
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ ঘোষকে চুরির অভিযোগে গত ৩ অগস্ট আটক করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রতিবেশী এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতে তিনি চুরি করেছিলেন। এরপরে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদ করার মাঝখানেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় গোবিಌন্দর। পুলিশে দাবি ছিল, শৌচাগারে গিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু, সেই দাবি মানতে চায়নি পরিবার। তাদের বক্তব্য ছিল, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছিল গোবিন্দর। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। ফলে পুলিশের মারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করেছিল পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করে।🔯 কার্যত দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন তারা। অবশেষে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । তারপরে মৃতের দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানায় মৃতের পরিবার। তারপরেই ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়।
এই ঘটনায় এবার থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারের ভ🌳ূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের ঠিক কী ভূমিকা ছিল? তা খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি মন্তব্য করেন, ‘এই ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া জরুরী।’ এর পরে তিনি সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর। মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।