কলকাতা শহরে একটা বড় সমস্যা ফুটপাতের হকার। যার জেরে ফুটপাত দিয়ে 🍌হাঁটা যায় না বলেই অভিযোগ। আবার অনেক বাড়ির সামনে হকার বসে যাওয়ায় যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। এই পরিস্থিতিতে শহরের হকারদের নিয়মে বাঁধতে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। এখন সামনেই দুর্গাপুজো তার আগে মহানগরীর হকারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি দখলদারি চিহ্নিত করতে হবে। আর ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সরিয়ে ফেলতে হবে। এমনকী কলকাতা পুরসভা এলাকায় বাইরের শহরের কোথায় কত হকার আছে সেটা বিস্তারিত জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
কলকাতা পুরসভাকে এই তথ্য লিখিত আকারে পেশ করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বারবার বলা সত্ত্বেও তুলে দেওয়ার পরও সেখানে আবার এসে বসে গিয়েছেন হকাররা। আবার কিছু ক্ষেত্রে হকারদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। তাই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। হকারদের রাস্তা দখলের দৃশ্য দেখে কলকাতা পুরসভার আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘বিষয়টা একটু দেখুন। 🃏নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এবার নিজেরা সিদ্ধান্ত নিন। এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। রাজনীতিতে জড়িয়ে গেলে আর কোনও কাজ হবে না।’
এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে বসে রয়েছে হকাররা। তুলতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হকারদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বৈঠকে বসে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। এই সমꦯস্যাটি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় বৈঠকও করা হয়। নতুন করে কোনও হকারদের বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত ꦓনেয় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপরও সমস্যা মেটেনি। নতুন নিয়মে, বেআইনিভাবে বসা কোনও হকারদের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি পদক্ষেপ করতে পারবে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু হকাররা যাবে কোথায়? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ফের বাংলার জয়𒁃জয়কার, টুইট করে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
অন্যদিকে দুর্গাপুজোয় হকারি করতে না পারলে রুজি–রোজগারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ‘শপিং হাব’ বলে পরিচিত ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলের নীচে বসা হকারদের নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট💧ের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা পুরসভাকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে থাকা ফুটপাথ থেকে হকার সরাতে হবে। এমনকী বিচারপতি অমৃতা সিনহা কলকাতা পুরসভাকে জানিয়ে দেন নতুনভাবে এই হকারদের কোনও লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। আর অবৈধ দোকানগুলিতে কেমন করে বিদ্যুৎ সংযোগ এল? সিইএসসি’র কাছে সেই কৈফিয়ত তলব করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ হকার সমস্যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছিল।