পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা–সহ নানা সরকারি ভবন প্রত্যেক রাজ্যেই আছে।💞 আর তার সঙ্গে আছে একাধিক সরকারি ভবন। এইসব সরকারি ভবনে হামলা চালালে তা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের সামিল বলে গণ্য হয়। আর সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে। এবার তেমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী রাজনৈতিক দলও যদি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। মালদার পুকুরিয়ায় পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করার মামলায় আজ এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই নির্দেশ আসার পর সেটা সব ক্ষেত্রেই গণ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যে কোনও সরকারি ভবনেই ভাঙচꦰুর চালালে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে। রাজনৈতিক দল হলেও পার পাবে না। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে যে রাজনৈতিক দলই করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ধারা প্রয়োগ করা হবে না? আজ এই🅠 প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে রোগীর আত্মহত্যা, চন্দননগরে তুমুল আলোড়ন
এই পর্যবেক্ষণ রাজ্য সরকারের কাছে বড় হাতিয়ার হয়ে গেল। কারণ অনেক সময়ই নবান্ন অভিযানের নামে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে শুরু করে সরকারি ভবনে থাকা আসবাবপত্র ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্থ তছরুপের অভিযোগে একদল লোক আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনের ঘটনা থেকেই পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এবার সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ধারা 💞কেন প্রয়োগ করা হয়নি? সেটা নিয়ে পুলিশের আইনজীবীকে প্রশ্ন ꦆকরেন বিচারপতি।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, পরবর্তী শুনানিতে কেন ওই ধারা প্রয়োগ করা যাবে না? এই বিষয়েও একটি রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পর্যবেক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে অভিযোগ পুনরায় খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ধারা প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আর আগামী ১৭ জানুয়ারী আবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। আন্দোলন করা আর সরকারি সম্পত্তি ভাঙা 🌟দুটি যে এক বিষয় নয় সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই নির্দেশে। এখন দেখার রাজ্য প্রশাসন কী রিপোর্ট দেয়।