জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরের মধ্যে ঝামেলা। তা নিয়ে মামলা গড়াল🀅 কলকাতা হাইকোর্টে। তবে শ্বশুরের আর্জি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। এই অবস্থায় শ্বশুর যাতে তার জামাইয়ের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেন সেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাﷺধ্যায়ের এজলাসে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জামাইয়ের পক্ষেই এই নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: SC, ST-র সাব-ক্লাসিফিকেশন করতে পারে রাজ্য, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টꦬের
কী নিয়ে শ্বশুর-জামাইয়ের মধ্যে ঝামেলা?
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই যুবক অর্থাৎ জামাই হলেন উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল এলাকার বাসিন্দা। তিনি পাঞ্জাবের এক যুবতীকে ২০১৯ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিয෴়ের পর যথারীতি নিজের স্ত্রীকে ঘরে এনেছিলেন যুবক। কিন্তু, বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে মেয়েটিকে তার আত্মীয়রা বাড়ি নিয়েꦆ যায়। যুবককে জানানো হয়, কিছু রীতি রেওয়াজ পালনের জন্য তার স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া প্রযোজন। ফলে তিনি বাধা দেননি। কিন্তু, মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরেই ঘটে বিপত্তি।
দিন দশেক পর স্ত্রীকে ঘিরে ফেরাতে শ্বশুরবাড়ি যান ওই যুবক। তবে জামাই আদর পাওয়ার পরিবর্তে যুবককে শারীরিক তাঁকে জাত তুলে গালিগালাজ করেন শ্বশুর। তিনি জামাইকে ‘নিচু জাত’ বলেছিল𓆏েন।শুধু তাই নয়, তিনি মেয়েকেও পাঠাননি। পরে ২০২০ সালে ফের স্ত্রী’কে ফেরানোর চেষ্টা করেন যুবক। তিনি পঞ্জাবে যান। তখনও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবক জগদ্দল থানায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ভিত্তিতে ꦺপুলিশ
মেয়ের বাপের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি-জনজাতি আইনে চার্জশিট জমা দেয়। এদিকে, এই মামলায় বারাসত আদালত বারবার যুবকের শ্বশুরকে হাজিরার নির্দেশ দেন। কিন্তু, হাজিরা না দেওয়ায় শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানা 💛জারি করে আদালত। অবস্থা বেগতিক বুঝে কলকাতা হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন যুবকের শ্বশুর। তিনি পালটা যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ তোলেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে এফআইআর বাতিলের দাবি জানান। তবে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিম্ন আদালত নিয়ম মেনেই পদক্ষেপ করেছে।