আরজি কর হাসপাতালে তরু𓂃ণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গর্জে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে জোরদার আন্দোলন চলছে জেলায়-জেলায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তভার হাতে পেয়েই এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িয়ে ছিল কিনা, তাཧর কিনারা করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শুক্রবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে মাঝরাস্তায় গ্রেফতার করে সিজিও কমপ্লেক্সের নিয়ে যায় সিবিআই। আর এবার সেমিনার হল থেকে সূক্ষ্ম সুক্ষ্ম প্রমাণ সংগ্রহ করতে তৎপর হল সিবিআই। সেখানে নিয়ে যাওয়া হল লেজার স্ক্যানার।
এই স্ক্যানারের সাহায্যে থ্রিডি স্ক্যানিং করে ঘ🎐টনাস্থলের ৩৬০ ডিগ্রি ছবি ধরা পড়বে। আর তাতেই সূক্ষ্ম থেকে অতি সূক্ষ্ম কোনও প্রমাণ ধরা পড়বে। সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে অনেক সূক্ষ্ম-সূক্ষ্ম প্রমাণ এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এই মেশিনের ক্ষেত্রে তা খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। ফলে অতি সহজেই প্রমাণ পাওয়া যাবে, এই কাণ্ডে আরও কেউ ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল কিনা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের লেজার স্ক্যানার সাধারণত বড় কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যবহাꦦর করা হয়। এর আগে বাংলায় এই মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল বগটুই কাণ্ডের সময়। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের ৬ জন আধিকারিক আরজি করের সেমিনার 💟হলে পৌঁছান। সেখানে তাঁরা এই লেজার স্ক্যানার নিয়ে যান। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের সঙ্গে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন।
এদিকে, আরজি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে দ্বিতীয়বার তলব করে সিবিআই। তারপরেই তিনি সি🌼বিআই দফতরে হাজিরা দেন। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একদিন আগেও তাঁকে ডে🦹কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, আরজি করের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মিছিল করেন। সেখান থেকেই সিবিআইকে রবিবারের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলে ♉দাবি তোলেন। পাশাপাশি দোষীর ফাঁসির দাবিও জানান। একইসঙ্গে আরজি করের ঘটনা নিয়ে বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে জঘন্য রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন।