ধীরে ধীরে টাকা আসছে। নয়াদিল্লি থেকে টাকা এভাবেই মন্থর গতিতে আসছে। কিন্তু কিছুতেই আসছে না একশো দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা। এই বিষয়ে মোদী সরকার একেবারেই নীরব। গ্রাম সভা, পঞ্চায়েতগুলির জন্য ৯৭৯.১৫ কোটি টাকা এবার রিলিজ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। যদিও একশো দিনের কাজ বা আবাস যো🐟জনা খাতে বাংলার বড় বকেয়া প্রাপ্তি নিয়ে এখনও নীরব নয়াদিল্লি। এই কারণে গত সপ্তাহে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই টাকা বাংলার জন্য রিলিজ হওয়ার সময়টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আগামীকাল বুধবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সামনে ধরনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার নেতৃত্বে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া বাকি সাংসদ সদস্যরা সেখানেই উপস্থিত থাকবেন। ঠিক তার একদিন আগেই এই টাকা এল। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম সভার মতো স্থানীয় প্রশাসনের জন্য কেন্দ্রের থেকে একটা বরাদ্দ আসার কথা। এই প্রক্রিয়া রুটিন। অভিষেকের ধরনার আগেই বাংলায় এই বরাদ্দ আসায় তা যথেষ্ট ♚তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে এই খাতে মোট ৬টি♌ রাজ্যের জন্য ৪২১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় অꦺর্থমন্ত্রক। তার মধ্যে সবথেকে বেশি পেয়েছে মহারাষ্ট্র। তারা পেয়েছে ১০৮৩.৪৯ কোটি টাকা। গোয়া, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গনা এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্যও এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে এই টাকা গ্রামের স্থানীয় প্রশাসনকে বরাদ্দ করা হচ্ছে। এখানে নিয়ম হল, যে পঞ্চায়েতের এলাকা বড় এবং জনসংখ্যা বেশি, তারা বেশি বরাদ্দ পাবে। বাংলায় এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার প্রাক্কালে এমন টাকা বরাদ্দ হওয়ায় কাজ আরও এগোবে বলে মনে করা🐻 হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে দু’দিন আগে মিড–ডে মিল খাতে ৬৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার ৯৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। নবান্ন সূত্রে খবর, এই সব বরাদ্দ রুটিন। রাজ্যের প্রাপ্যই ছিল। কিন্তু বড় বকেয়া পাওনাগুলির বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক কোনও উচ্চবাচ্য করছে না। একশো দিনের কাজ বাবদ বাংলার বকেয়া পাওনা রয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। আবাস যোজনা খাতে আরও ৮২০০ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।🌠 আর সেগুলি না পাওয়া নিয়েই সোচ্চার হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।