এবার বাংলার একাধিক নাট্যদলের কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ হয়ে গেল। আচমকা এই কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ করা নিয়ে বাংলার সংস্কৃতি মহলে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এর আগে বাম আমলে শাসকের কোপে পড়তে হত একাধিক নাট্যদলকে। এমনকী তৃণমূল জমানাতেও সংস্কৃতি কর্মীদের উপর রাজ্যꦬে আঘাত নেমে এসেছে। এবার রাজ্যের অন্তত ১০-১২টি নাট্যদলের কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এই অনুদান দেয়। দীর্ঘ সময় ধ🐻রে এই কেন্দ্রীয় অনুদানের ব🔜্যবস্থা হয়ে আসছে। কিন্তু আচমকাই তালিকা থেকে উধাও একাধিক নাটকের দলের নাম। খবর এমনটাই।
সূত্রের খবর, এই বাদ যাওয়ার নাটকের দলের মধ্য়ে রয়েছে মেঘনাদ ভট্টাচার্য, দেবেশ চট্ꦚ🍸টোপাধ্য়ায়, পৌলমী চট্টোপাধ্য়ায়দের মতো নাট্য ব্যক্তিত্বের নাটকের দল।
মূলত নাটকের প্রচার ও প্রসারের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক দেশ জুড়ে নাটকের দলকে অনুদান দেয়। নাটকের দলের পরিচালক ওౠ অন্যান্য সদস্যদের গুরু শিষ্য পরম্পরা নামে একটি অনুদান দেওয়া হয়। এদিকে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে একাধিক নাট্যদলের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই এই বন্ধের কারণ নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। তবে ঠিক কী কারণে এই অনুদান বন্ধ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি রাজরোষে পড়েই এই নাটকের দলের অনুদান বন্ধ করা হল?
সূত্রের খবর ক🐓িছু বড় দলের নাটকের অনুদান বন্ধ হলেও জেলার একাধিক ছোট দলকে আবার অনুদান দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
তবে একাধিক নাট্য ব্যক্তিত্ব এই কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ নিয়ে নানা ধরনের অনুম🌼ান করছেন। কারণ এই অনুদান বন্ধ নিয়ে কোথাও বলা হয়েছে আপনি সবল হয়ে গিয়েছেন সেকারণে অনুদান বন্ধ। এদিকে নাট্য ব💦্যক্তিত্বদের একাংশের মতে, নাটকের একটা নিজস্ব ভাষা আছে। সেই ভাষাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। আর তারপরেও যারা সরব তাদের অনুদান বন্ধ।
নাট্যকার পৌলমী 🅷চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা নাকি সেল্ফ রিলায়েন্ট আর সাস্টেনেবল দল। কিন্তু আমাদের বাড়ি ভাড়া করে রিহার্সাল দিতে হয়।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, লোকসভা ভোটের আগে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ‘লে আয়ে ওয়াপাস সোনে কি চিড়িয়া’ নামে একটা🌸 নাটক প্রদর্শন করার কথা বলা হয়েছিল। এরপর সেটা ন্যাশানাল স্কুল অফ ড্রামার ওয়েবসা♋ইটে দিতে বলা হয়েছিল। আর সেই কথা অমান্য করার ফল ভুগতে হচ্ছে এবার। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এই অভিযোগ মানতে চাননি।