ও আজ, শনিবার চারু মার্কেট এলাকার রাস্তার উপর ভেঙে পড়ল বাড়ির বড় অংশ। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। সকালে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছিল সর্বত্র। আর তার জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন অনেকে। বৃষ্টর মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পুরনো একটি বাড়ির বড় অংশ। চারু মার্কেট থানা এলাকার অন্তর্গত ডিপিএস রোডে একটি বাড়ির বড় অংশ ভেঙে পড়ে বলে খবর। আর তার জেরে আহত হন এক পথচারী। কারণ আচমকাই বাড়িটি ভেঙে পড়ে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়ির নোটিশ এখানে দেওয়া হয়েছিল।
💎বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শনিবার সকালে চারু মার্কেট থানা এলাকার ডিপিএস রোডে বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তখন ওই ব্যক্তির চিৎকারে এবং বাড়ি ভাঙার শব্দে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এক ক্লিনিক নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে একজন মহিলাও ছিলেন। তিনিও জখম হয়েছেন। ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট মহিলার দাদা। মহিলাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাংর দাদা। পথে আচমকা পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়তেই আহত হন তাঁরা। তাঁদের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ꦯতারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির মাথায় বাড়ির কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্যক্তির মাথায় ৭টা স্টিচ পড়েছে। আর মহিলা জকম হয়েছেন। ব্যস্ত রাস্তায় এমন ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য পথচারীরা। এই ঘটনার পর গাছের ডাল কেটে বাড়ির ভেঙে পড়া অংশ সরানোর কাজ শুরু করেন পুরসভার কর্মীরা। চারু মার্কেট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সরেজমিনে দেখেন। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পুলিশ। কলকাতায় বেশ কয়েকটি বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সেই বাড়িগুলির উপর কারও নজর না থাকায় বর্ষাকালে এই বাড়িগুলি ভেঙে পড়ে। তাতেই ঘটে বিপত্তি।
আরও পড়ুন: 𝓡হাওড়ায় পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধার, আলোড়ন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে
ꦏআর কী জানা যাচ্ছে? যদি বাড়ির বড় অংশটি ওই ব্যক্তির মাথায় পড়ত তাহলে একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অবশ্যই ঘটত। এখন কলকাতা পুরসভা থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুরনো বাড়িতে নোটিশ দিলেও তা অনেকে গ্রাহ্য করেন না। আবার অনেকে সব জেনেও বিপজ্জনক বাড়িতেই বসবাস করেন। তবে চারু মার্কেটের এই পুরনো বাড়িতে কেউ থাকতেন না। ফলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এই বাড়ির নীচে বেশ কয়েকটি দোকান আছে। এই দোকানগুলির সামনে পুরনো বাড়ির বড় অংশ ভেঙে পড়ে। এক্ষেত্রেও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।