নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র মাধ্যমে ওপার বাংলা থেকে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে যেন পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিদানই দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। নিজেকে বিতাড়িত হিন্দু শরণার্থী দাবি করা ব্যক্তির পুরুষাঙ্গে সুন্নত খৎনা আছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্যেই এই নিদান দিয়েছেন তথাগত রায়। আর তাঁর এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। (আরও পড়ুন: ইলেক্টোরাল বন্ড অওনুদানের তালিকায় তৃতীয়তে নামল তৃণমূল, নয়া তালিকায় হেরফের হিসেব)
আরও পড়ুন: মাথায় পট্টি ไনিয়ে গার্ডেনরিচে মমতা, নিজের এলাকায় অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কী 😼বললেন মেয়র?
তথাগত রায় এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছিলেন, সিএএ-র মাধ্যমে যে সকল শরণার্থী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা পালিয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁদের এই দেশের নাগরিকত্ব দেখার আগে প🔯ুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে নেওয়ꦯা উচিত। যদি পুরুষাঙ্গে সুন্নত খৎনা করা থাকে, তাহলে সেই পুরুষ কোন ধর্মের তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। খৎনা না থাকা পুরুষ এবং সেই পুরুষদের সঙ্গে থাকা স্ত্রীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ইলেক꧙্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা নিয়েছে বাম দলগুলি? প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য
তথাগত রায়ের এই পোস্টটির নিন্দা জানিয়ে পালটা একটি পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সমিরুল ইসলাম। তাতে তিনি লেখেন, 'তথাগত রায় সব ধরনের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে দেখতে চান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ꦓপুরুষাঙ্গে খৎনা আছে কি না। বিজেপির মুখোস আস্তে আস্তে খসে পড়ছে। আমি বাংলার সব বাসিন্দার কাছে আবেদন করছি, বিজেপির এই নগ্ন, বিভাজনকারী প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে সরব হন, প্রতিবাদ দেখান।'
আরও পড়ুন: 'বকেয়া ৯০'-এর আশায় ৮ বছরের লড়াই, ডিএ মামলায় জিতলে ব𝓀াংলা💜র সরকারি কর্মীদের লাভ কত
পরে সমিরুল ইসলামের সেই পোস্টেরও জবাব দেন তথাগত রায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এই নিয়ে লেখেন, 'হায় ভগবান! কী শালী𒉰নতা, কী বিনয়! পুরুষের খৎনা করা হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা এত বড় কথা! সিএএ-র মাধ্যমে মুসলমানদের নাগরিকত্ব প্রদান করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়। তাই সন্দেহের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি পুরোপুরিভাবে হওয়া উচিত। অনেক বছর আগে যখন আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির হচ্ছিলাম তখন সমস্ত পুরুষদের একটি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময় একজন পুরুষ ডাক্তারের সামনে ডিসরোবিং অন্তর্ভুক্ত ছিল! খৎনা করা হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য নয়, তবে হাইড্রোসিল আছে কিনা, তা জানতেই সেই পরীক্ষা হয়েছিল। সেই সময় কেউ আপত্তি করেনি! এখন কেন?'