আজ, সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্🦩বাচন চলছে দেশে। সকালেই বিজেপি বিধায়করা হোটেল থেকে মুক্তি পেয়ে বিধানসভায় আসেন। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করাও আসেন ভোট দিতে। তারপর বেলা গড়াতেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অর্জুন সিং এদিন বিধানসভায় এসে ভোট দেন। অপেক্ষা করছিলেন সবাই মুখ্যমন্ত্রী কখন আসছেন ভোট দিতে। অবশেষে তিনি এলেন এবং ভোট দিলেন।
ঠিক কখন এলেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ দুপুর ২টোর সময়েই বিধানসভায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভোট দিতে আসেন ঠিক ৩টে ৩৩ মিনিটে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এরপর সটান চলে যান ভোট প্রয়োগের কক্ষে। সে🌳খানে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
কাকে ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? গোপন ব্যালট বাক্সে ভোট হওয়ার⛦ দরুণ কে কাকে ভোট দিচ্ছে♌ন তা জানা সম্ভব নয়। তবে বিরোধীদের জোট তিনিই তৈরি করেছিলেন। শরদ পাওয়ার এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলেন না তখন আস্তিন থেকে মোক্ষম তাসটি বের করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা একজোট হয়ে সমর্থন করেন যশবন্ত সিনহাকে। যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি ছিলেন। সুতরাং এনডিএ বিরোধী ভোট পড়েছে যশবন্ꦇতের ঝুলিতে।
আর কী হল সেখানে? এদিন ঠিক ৩টে ৪০ মিনিটে ভোট দিয়ে বেরিয়েও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও কথা🅠 এখানে তিনি বলেননি। ২৯৩ জন বিধায়কের মধ্যে ২৯১ জন বিধায়ক ভোট দিলেন। ভোট দিলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল। ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও অনুপস্থিত ছিলেন। বাকি সবাই ভোট দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিকেল ৪টে নাগাদ আসেন ভোট দিতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।