আজ, সোমবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার তিনি সেন্ট্রাল পার্কের নাম পরিবর্তন করে দিলেন। এবার থেকে ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’ হিসাবেই পরিচিত হবে সেন্ট্রাল পার্ক। এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। তাই বঙ্গবন্ধুর বিশাল কাটআউটে সেজে উঠেছে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন। আর এখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশে কোনও বিভেদ নেই। তারা একে অপরের চিরসাথী। সীমানা দিয়ে দুই বাংলাকে আলাদা করা যায় না।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাস🉐িনা এবং তাঁর পরিবারের সকলের শুভকামনাও করেন তিনি।
এবার তাঁর ১৫টি বই এই বইমেলায় প্রকাশিত 💙হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইগুলির মধ্যে সাড়া ফেলেছে খেলা হবে, কবিতাবিতান, দুয়ারে সরকার–সহ বেশ কয়েকটি। কিন্তু এত ব্যস্ততার মধ্যে কꦿীভাবে লেখার সুযোগ বের করেন? বইমেলায় ওঠা প্রশ্নের জবাবে বাংলার ফায়ার ব্র্যান্ড লেডি বলেন, ‘সম্ভবত ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর আমি কিছু বই বইমেলায় দিই। এখন বছরে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশের জন্য আমার একটা পেন আছে আর একটা মুখ রয়েছে। মুখ কখনও কখনও কথা বলে। কথার মধ্যে দিয়ে কথা বের হয়। আমি এখনও মনে করি কলমের বিকল্প কিছু নেই। মনের ভাষা বের করতে গেলে, একটা খাতা আর একটা পেনের যে দাম সেটা তাঁরাই জানেন, যাঁরা লেখেন। ট্রেড মিল করতে করতেই কাউকে ব্রিফিং করে দিই। বলি এই লিখে ফেল তো এইটুকু। ওইটুকু লিখতে লিখতে, পথ চলতে-চলতে, ফোনে কথা বলতে বলতে। ট্রেড মিল করতে করতে আমাকে এগুলো করতে হয়।’
এবার মোট ৯টি তোরণ রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি বঙ্গবন্ধুর লেখা বইয়ের আদলে। বঙ্গবন্ধুর নামে একটি গেটও রয়েছে। ২টি সত্যজিৎ রায় ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে করা হয়েছে। একটি বিশ্ববাংলা গেটও রয়েছে। দᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚুটি হলের নাম দেওয়া হয়েছে সুভাষচন্দ্র বসু এবং ঋষি অরবিন্দর নামে। বিশিষ্ট অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে মুক্তমঞ্চ🗹।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধকে নিয়ে দুপুরে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে। আর মেলা প্রাঙ্গণে এসে শান্তির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা🧸য়। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ব শান্তির পক্ষে। ভারত এক সময় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে পথ দেখিয়েছে। আসুন না ভার♔তই নেতৃত্ব দিয়ে এই যুদ্ধের সমাধান করে দিক। কথা বলে শান্তির মধ্যে দিয়ে যা হয়, মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে তা হয় না।’