শ্বশুর তৃণমূল কংগ্রেসের🐼 সিনিয়র নেতা। রাজ্যের মন্ত্রী। কলকাতার মেয়র। তারপরও তাঁর জামাই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এবার জামাইয়েরও পদন্নোতি হল। তবে সেটা কংগ্রেসে। হ্যাঁ, ফিরহাদ হাকিমের প্রাক্তন জামাই ইয়াসির হায়দারকে এবার বড় দায়িত্ব দিল কংগ্রেস। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার প্রেক্ষিতে রবিবার লোকসভা ভিত্তিক কংগ্রেসের কো–অর্ডিনেটরদের তালিকা প্রকাশ করেছে এআইসিসি। আর সেই তালিকায় অনুমোদন দিয়েছেন এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক তথা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতা কেসি বেণুগোপাল। বাংলা থেকে কটা আসন কংগ্রেসকে ছাড়া হবে তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে তালিকা থেকে জানা গিয়েছে, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের কো–অর্ডিনেটর হিসাবে রয়েছে ইয়াসিরের নাম। এই আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের জেতা আসন। নুসরত জাহান এখান থেকে জিতেছেন। এই আসন কখনই কংগ্রেসকে ছাড়বে না তৃণমূল। তাহলে এখানে কংগ্রেসের কো–অর্ডিনেটর দেওয়ার অর্থ কী? উঠছে প্রশ্ন। এবার এখান থেকে নুসরত জাহান দাঁড়াবেন কিনা সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অন্য কেউ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হতে পারেন বলে সূত্রের খবর। সেখানে একদা মেয়র ফিরহাদের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইয়াসিরের। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও আছে। কিন্তু এখন ইয়াসির–প্রিয়দর্শিনীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আর গত ২০ অগস্ট প্রদেশ কংগ্রেস꧂ সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে দলবদল করেন ইয়াসির। যোগদানের মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই পেলেন বড় দায়িত্ব।
অন্যদিকে বাংলায় যদি কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয় তাহলে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে খাটতে হবে ইয়ℱাসিরকে। অর্থাৎ প্রাক্তন শ্বশুরের দলের 💞প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে হবে ইয়াসিরকে। সেটা কি তিনি মেনে নিতে পারবেন? উঠছে প্রশ্ন। ফিরহাদের জামাই হওয়ার সুবাদে তৃণমূল কংগ্রেসেও বড় দায়িত্বে ছিলেন ইয়াসির। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনে তিনি রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পান। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের পর সেসব অতীত। এবার বসিরহাট থেকেই নিজের রাজনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দেবেন ইয়াসির। অতীতের রাজনৈতিক কাজের অভিজ্ঞতা কতটা ইয়াসির কাজে লাগাতে পারবেন এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: ‘যোগ্য লোকদের ৬০ বছ🐓রে বিদায় দিই না’, নবীন–প্রবীণ নিয়ে বার্তা দিলেন মমতা
ঠিক কী বলছে꧋ন নয়া কো–অর্ডিনেটর? এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই ইয়াসিরের বক্তব্য জানতে চাইছেন। এমন আবহে ইয়াসির বলেন, ‘আমি যেহেতু সংখ্যালঘু পরিবার থেকে এসেছি, আর বসিরহাট একটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্র তাই আমার কাজের সুবিধা হবে। কারণ, রাজনীতির ক্ষেত্রে আমার কাছে কোনও নতুন জায়গা নয়। আগের অভিজ্ঞতা আমার কাজে লাগবে। কংগ্রেসের যোগদানের পরই সেটা বুঝেছিলাম। আমি সব বিষয়কেই আলাদা করে দেখি। সামাজিক জীবন আর রাজনৈতিক জীবন এক হয় না। আবার পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গেও রাজনৈতিক জীবনের কোনও যোগাসূত্র নেই। এগুলি রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।’