সদ্য কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। আর তাতে বেশ অক্সিজেন পেয়েছে এই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস। দীর্ঘদিন তাঁদের বড় কোনও আন্দোলন বা সভা বাংলার মানুষ দেখেননি। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই দুইয়ের প্রেক্ষাপটে এবার কলকাতার বুকে শহিদ মিনার চত্বরে বিশাল জনসভার ডাক দিল প্রদেশ কংগ্রে꧂স। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী এই সভার ডাক দিয়েছেন। তিনিই নেতৃত্ব দেবেন শহিদ মিনারের জনসভার।
কবে এই জনসভা হতে চলেছে? এই জনসভায় রাজ্য কংগ্রেসের প্রত্যেকটি জেলার সভাপতিকে আহ্বান করা হবে। আগামী ১৫ জুন শহিদ মিনার ময়দানে কেন্দ্রীয় জমায়েত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহিদ মিনার চলো অভিযান সফল করার জন্য 🧜জেলায় জেলায় কংগಞ্রেসের লক্ষ্য, ভাবনা, দলের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস বেড়েছে তা এখান থেকে জানানো হবে। এই বিষয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘একমাস ধরে প্রচার চালানো হবে। কংগ্রেস যে বিজেপির মতো সম্প্রদায়িক শক্তিকে পতন করতে পারে কর্ণাটকের নির্বাচন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। সেই ইতিহাস বাংলায় করতে চাই।’
কেন হঠাৎ এমন সভার ডাক? একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস ভাল ফল করতে চায়। আর অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিও এখান থেকেই শুরু করতে চায়। তাইꩵ শহিদ মিনার থেকে দলের নেতা–কর্মীদের বার্তা দেওয়া হবে। আর তা নিয়ে কাজে নামতে হবে কংগ্রেসিদের। এই জনসভা নিয়ে অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘𒉰বিজেপির মতো সম্প্রদায়িক দলের বিরুদ্ধে একমাত্র কংগ্রেসই জয়লাভ করতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচন সেই লড়াই করতে চাই। আগামীদিনে এই পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূলকে পরাজিত করতে কংগ্রেস বিকল্প শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে। ১৫ জুন সারা বাংলার মানুষ আসবে। অশুভ শক্তির পতন হবে।’
অধীরের বড় ঘোষণা কী? নরেন্দ্র মোদী সরকার এই রাজ্যের একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। এই অভিযোগ বারবার তৃণমূল কংগ্রেস তুলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সোচ্চার হয়েছেন। চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। দেখা করেছেন নয়াদিল্লি গিয়ে। রাস্তায় ধরনায় বসেছেন। এখন প্রত্যেকটি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোচ্চার হচ্ছেন। মানুষের অধিকার পাইয়ে দিতে ๊নয়াদিল্লিতে ধরনায় বসবেন বলে ঘোষণা করেছেন। এই বিষয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরীর বড় ঘোষণা, ‘বাংলা কেন বকেয়া টাকা পাচ্ছে না? সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেনি কেন? সৎ–স্বচ্ছ হলে কেন হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট করছেন না? আমরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, দিল্লিতে অবস্থান করুন, আমি যোগ দেব।’