বন্ধ ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে করোনা আক্রান্ত ছেলের নিথর দেহ। আর তাঁর পাশেই দেহ আঁকড়ে শুয়ে রয়েছেন প্রতিবন্ধী মা! দরজা ভেঙে উদ্ধার করা ღহল করোনায় মৃত ছেলে ও তাঁর পক্ষাগ্রস্ত মাকে। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঠাকুরপুকুরে। এমন দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেন উদ্ধারকারীরা।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুরের চন্দ্রপল্লী এলাকায়। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর 🐼মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রশাসন বলে অভিযোগ পড়শিদের।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম কমল দে। কয়েক দিন আগেই কমলবাবু ও তাঁর মা, দু’জনেই করোনায় আ🌜ক্রান্ত হন। বাড়িতেই দু’জনের চিকিৎসা চলছিল। তবে সোমবার থেকে তাঁদের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় দু’দিন ঘরের দরজা না খোলায়, সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেন। বুধবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁরা বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। ঢুকে দেখতে পান, করোনায় মৃত কমল বাবুর দেহ আগলে ঘরেই শুয়ে রয়েছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মা। প্রৌঢ়াও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায়, এর পর তাঁকে উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এরও প্রায় দু’ঘণ্টা পর মৃত কমল দে’র দেহ উদ্ধার করে পুরসভা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে হাইকোর্টে একাধিক মামলা করেছিলেন মৃত কমল দ𝕴ে। অশোকস্তম্ভ লাগানো গাড়িতে ঘোরা নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এছাড়া, পুলিশের ভুঁড়ি থাকবে কেন? এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল পুলিশ মহলে। এছাড়াও শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন কমলবাবু।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে করোনায় সংক্রমণ নিয়ে বাড়িতে থে𒁏কেই রোগীর মৃত্যুর ঘটনা বারবার প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও বা প্রতিবেশীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন না, তো কোথাও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলেও, সৎকারের জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চরম অমানবিকতার নজির গড়ছে শহর কলকাতা।