হরিদেবপুরে অয়ন মণ্ডল খুনে ধৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বাকি ২ ধৃত নাবালক বলে তাদের সরকারি হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত আরেক অভিযুক্তকে ওড়িশা থেকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে কলকাতায় আনছে পুলি🍃শ।
অয়ন মণ্ডল খুনে তার বান্ধবী প্রীতি জানা, তার মা রুমা জানা ও বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে প্রীতি জানার নাবালক ভাই ও তার ৩ বন্ধুকে। তাদের মধ্যে আবার একজন নাবালক। এদিন ধৃতদের জামিনের আবেদন করে আইনজীবী বলেন, ‘এই খুন ইচ্ছাকৃত নয়। ঘটনাচক্রে খুন হয়েছেন অয়ন। তাই ধৃতদের জামিন দেওয়া হোক।’ যে গাড়িতে দেহ লোপাট করা হয়েছিল তার মালিকের আইনজীবী ওবলেন, ‘গাড়ি নিয়ে কী করা হবে তা জানা ছিল না তাঁর।’
সৌমেন্দুকে ১০ ঘণ্টা পুলিশি জেরা, মমতাকে সুদে-আসলে ফিরিয়ে দেব: শুভেন্দু
যদিও সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘জেনে বুঝে পরিকল্পমাফিক অয়নকে খুন করেছে জানা পরিবারের সদস্যরা। পরিকল্পনা করে দেহ স🌺রিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে তারা। দেহে একাধি💫ক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, খুনের উদ্দেশেই আঘাত করা হয়েছিল অয়নকে। ফলে এক্ষেত্রে বিস্তারিত জানতে ধৃতদের আরও জেরা করা দরকার। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিয়ে তারা যে কোনও তথ্য লুকাচ্ছে না সেব্যাপারে নিশ্চিত হতে চান তদন্তকারীরা।’ এর পরই ধৃতদের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশে🌄র দাবি, দশমীর রাতে অয়নকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান তাঁর বান্ধবী প্রীতি। কিন্তু সেখানে গিয়ে বান্ধবীকে দেখতে না পেয়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে বিবাদ জুড়ে দেন অয়ন। অভিযোগ, তখন মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে নিজের নাবালক ছেলেকে রুমা বলেন, ভিকিকে (অয়নের ডাক নাম) মার। মায়ের নির্দেশে ভারী ইট দিয়ে অয়নের মাথার পিছনে আঘাত করে সে। তদন্তকারীদের ধারণা, মত্ত অবস্থায় থাকায় নিজের থেকে কম বয়𝔍সী ওই নাবালককে প্রতিরোধ করতে পারেননি অয়ন। এর পর লাঠি ও রড দিয়ে তাঁকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ।
রাতেই মগরাহাট থানা এলাকার𒅌 মাগুরপুকুরে নির্জন জায়গায় মিনিডোর ভ্যানে করে অয়নের দেহ ফেলে আসে প্রীতির নাবালক ভাই ও বাবা। পরদিন সকালে দেহ উদ্ধার করে মগরাহাট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁ🗹সি দাবি করেছে মৃতের পরিবার।