রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নতুন করে আশঙ্কার ইঙ্গিত দিয়ে রাখল বৃহস্পতিবার। এদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। নতুন করে আক্রান্তের♎ সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ জন, মৃত্যꦑু হয়েছে দু’জনের। রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পার করা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজ্যে দৈনিক কোভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৫৩। তার পর থেকে এই সংখ্যা ক্রমশ নামছিল। কিন্তু শেষ কয়েকদিন ধরে বাড়তে থাকায় এখন তা চলতি বছরের সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড করল। রাজ্যে এখন মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৮৯ জন। বুধবার থেকেই করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বুধবা♓রই দৈনিক সংক্রমণ প্রায় হাজার ছুঁয়েছিল। এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৮২ জন, প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ জন। বৃহ🎉স্পতিবার সেই সংক্রমণের হার বাড়ল আরও বেশ কয়েকগুন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ৭৬৬টি। ফলে সংক্রমণের হার ছিল ৪.৯৪ শতাংশ। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে দৈনিক সংক্রমণের হার এখনও কমই র♏য়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে এই হার আরও অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। কলকাতায় আজ নতুন করে ৩৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগণায় কোভিড ধরা পড়েছে ৩৪৪ জনের।
চিকিৎসকরা মনে করছেন, দোলে রাজ্যের একাধিক জায়গায় নজরে এসেছিল অসচেতনতার চিত্র। আর এর প্রভাব অত্যন্ত খারাপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল! কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা বাদেও আরও কয়েকটি জেলার করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। এই জেলাগুলি হল হাওড়া (১১২), হুগলি (৭৩), পশ্চিম বর্ধমান (৭০), দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৫৯),বীরভূম (৪০)।𝔉 গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব মেদিনীপুর (২৯), পুরুলিয়া (২২) মালদা (২০), মুর্শিদাবাদ (১৮), দার্জিলিং (১৮), নদিয়া (১৬), পূর্ব বর্ধমানের (১৫) এবং জলপাইগুড়ি (১০) সংক্রমণ তথ্যও কিছুটা চিন্তায় রাখবে।