সোনালি দিন আর নেই। রক্তিম সূর্য অস্তমিত। ২০১১ সালে রাজপাট গিয়েছে। তারপর নানা চেষ্টা করেও এক যুগ ধরে ক্ষমতায় ফেরা যায়নি। সংগঠনও ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে। তাই দল চালানোর খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শুধুমাত্র পাඣর্টি সদস্যদের চাঁদা বা লেভির উপর ভরসা করে দল চালানো যাচ্ছে না। তাই সিপিআইএম আবার রাস্ত💛ায় নেমে কৌঠো নাচিয়ে অর্থসংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সূত্রের খবর, রাজ্য সিপিআইএমের কোষাগার এখন কার্যত ঢুঢু কোম্পানি। আয় বাড়েনি। কিন্তু খরচ রয়ে গিয়েছে। কাঁটছাঁট করেও খরচ আয়ত্তে আনা যায়নি। জমানো টাকার সুদ ব্যবহার করে খরচের ধাক্কা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির পার্টি সেন্টারে কমবেশি ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে দলের নিয়ম মেনেಌ। তাই এবার মেগা গণসংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে সিপিআইএমের রাজ্য নেতৃত্ব।
ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? দলীয় সূত্রে খবর, সব জেলাকে এবার পথে নেমে গণ🧔সংগ্রহের মাধ্যমে মোট এক কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা। আ🍃গামী পুজোর আগেই এই টাকা জোগাড়ের জন্য জেꦐলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে নানা ইস্যুকে সামনে রেখে দল অর্থ সংগ্রহের কাজ করেছে। সিপিআইএমের তহবিলে টান পড়লে গণসংগ্রহ আগেও হয়েছে। তাই এই পথকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রথম এক কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী বলছেন রাজ্য সম্পাদক? এই বিষয়ে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম সংবাদমাধ্যমে সাফ বলেছেন, ‘আগামী দু’মাসের মধ্যে নিয়মিত রাস্তায় নেমে মানুষের কাছে গিয়ে চাঁদা তোলার মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ 🥂করতে হবে দলকে।’ꦓ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার উপর রাজারহাটে প্রস্তাবিত জ্যোতি বসু সেন্টারের বাস্তবায়নের জন্যও টাকা তুলতে হবে। সংগঠন ও দলকে চালাতে গেলে টাকা লাগবে। সেই টাকা এভাবেই জোগাড় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।