হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের জন্য নয়া নিয়ম আনছে ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথি। সেক্ষেত্রে এবার ক্রেডিট স্কোর সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। আর ক্রেডিট স্কোর বাড়লে তবেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা লাইসেন্স নববীকরণ করতে পারবেন। অর্থাৎ নিজেদের আপডেট না করলে হোমিপ্যাথিক চিকিৎসকরা লাইসেন্স নবীকরণ করতে প🦄ারবেন না। এমনটাই জানালেন ন্যাশনাল কমিশন ফর হোমিওপ্যাথির চেয়ারপার্সন♊ ডাঃ অনিল খুরানা।
আরও পড়ুন:টাকা নিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি! গ্রেফতার হোমিওꦉপ্যাথি চিকিৎসক
মঙ্গলবার সল্টলেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথিতে আধিকারিকদের নিয়ে তিনি একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠক শেষে একথা জানান চেয়ারপার্সন। তিনি জানান, দেশের প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে কনটিনিউইং মেডিক্যাল এডুকেশন (সিএমই)-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। তাতে অংশ নিলে তবেই চিকিৎসকদের স্কোর বাড়বে। আর স্কোর বাড়লে তবেই তাদের লাই𒊎সেন্স পাঁচ বছরের জন্য নবীকরণ করা হবে। আর না পারলে নবীকরণ করা হবে না। তখন পুনরায় ক্রেডিট স্কোর বাড়িয়ে ফের লাইসেন্স নবীকরণ করতে পারবেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ এবার থেকে হোমিও চিকিৎসকদের লাইসেন্স নবীকরণে করতে আরও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন এনআইএইচ-এর অধিকর্তা ডাঃ সুভাষ সিং, প্রাক্তন অধিকর্তা ও হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের উপদেষ্টা ডাঃ গৌতম আশ প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন কমিশনের তিনটি বোর্ডের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা।
যদিও কবে থেকে নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি ওই আধিকারিক। তবে দ্রুতই এই নিয়ম চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রয়েছেন। নয়া নিয়ম চালু হলে তখন সব হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের এইভাবেই লাইসেন্স পাঁচ বছরের জন্য নবীকরণ করা হবে। 🦂এছাড়াও♔ লাইসেন্স নবীকরণের জন্য কত ক্রেডিট স্কোর থাকতে হবে? সেই সমস্ত বিষয়ে এখনই কমিশনের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবিষয়ে শীঘ্রই খসড়া তৈরি হবে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
এদিন কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এবছর সারা দেশে নতুন সাতটি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অনুমোদন পেয়েছে। যার মধ্যে একটি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হবে জম্মু-কাশ্মীরে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এটিই জম্মু ও 𓆏কাশ্মীরে প্রথম হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হতে চলেছে। নতুন সাতটি মেডিক্যাল কলেজ হলে দেশে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বেড়ে হবে ২৮৫টি।
অন্যদিকে, আরজি কর আবহে মেডিক্যালের পড়ুয়া শিক্𝔍ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসা শি♕ক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে যে কোনও হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপকরা গাইড হিসেবে মর্যাদা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।