বিলাসবহুল ক্রুজে সফর করার মজাই আলাদা। এবার সেই ব্যবস্থা করতে চলেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কলকাতা থেক෴ে মায়াপুর, মুর্শিদাবাদ যাওয়ার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। ইস্কন মন্দির, হাজারদুয়ারী দেখে উত্তরে বারাণসী সফর করা যাবে বিলাবহুল ক্রজে। এই ধরণের পরিষেবা সাধারণত ইউরোপের দেশগুলিতে দেখা যায়। যা এবার দেখা যাবে বাংলায়।
কেন এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে? কলকাতা বন্দর সূত্রে খবর, কলকাতাকে পূর্বাঞ্চলের ক্রুজ পর্যটন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা করা হয়❀েছে। তাই আপাতত তিনটি ক্রুজ টার্মিনাল গড়ে কথা সোমবার জানিয়েছেন কেওপিটি চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। এই ক্রুজ টার্মিনাল গড়ে উঠলে যেমন যাতায়াতের সুবিধা হবে, তেমনি কর্মসংস্থানও হবে।
ঠিক কী বলেছেন কলকাতা বন্༺দরের চেয়ারম্যান? মঙ্গলবার এই ক্রুজ টার্মিনাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘খিদিরপুর ডকের কাছে ইন্ডেঞ্চারড মেমোরিয়ালের জেটি থেকে আগেই কলকাতা–বারাণসী ক্রুজ পরিষেবা শুরু করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। তবে করোনাভাইরাসের জেরে দু’বছর বন্ধ রয়েছে। আশা করছি আগামী অক্টোবর থেকে ফের তা চালু হবে। মেরিন হাউজের কাছে একটি জেটি এবং🌄 আউটরাম ঘাটের জেটি আমরা আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন করে তৈরি করব। যা ক্রুজ পরিষেবা চালানোর কাজে ভাড়া দেওয়া হবে। এখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।’
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জাতীয় গতিশক্তি পরিকল্পনার অধীনে কেওপিটি মোট ২,৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে এবং বাকিটা শীঘ্রই শেষ করা হবে। আর প্রকল্প নির্মা🍌ণ বাবদ ৬৬ কোটি টাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যে টাকায় তিনটি জেটি তৈরি হবে। সঙ্গে সৌন্দর্যায়ন থাকছে। এই টাকার ৪০ শতাংশ বহন করবে কেওপিটি। এই বিষয়ে কেওপিটি চেয়ারম্যান বিনীত কুমার বলেন, ‘কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে হুগলির বলাগড়ে আমরা আড়াই বছরের মধ্যে একটি নদী টার্মিনাল গড়ে তুলব। হলদিয়া, কলকাতা থেকে পণ্য বার্জে করে বলাগড় যাবে।ꦰ সেখান থেকে সড়কপথে যাবে দুর্গাপুর বা আসানসোলে। সুতরাং কলকাতা ও তার আশেপাশে রাস্তায় লরির চাপ এবং পরিবেশ দূষণ কমবে।’