শু🎃ক্রবার ভোর রাতে পশ্চিমবঙ্গ🥃 – ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানা। ঘূর্ণিঝড়ের খবরে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষয়ক্ষতি দেখার পর বাড়তি সতর্ক প্রশাসনও। তবে দানা আছড়ে পড়ার আগে এল কিছুটা স্বস্তির খবর। সাম্প্রতিক পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে একেবারে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির তেমন সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার গভীর রাতে বালেশ্বর থেকে সাগরদ্বীপের মধ্যে কোনও জায়গা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় দানার কেন্দ্রটি। তবে ভূভাগে প্রবেশের আগে বেশ কিছুটা শক্তিক্ষয় হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের। পূর্বাভাস বলছে উপকূল স্পর্শ করতেই দ্রুত শক্তি হারাতে থাকবে এই ঘূর্ণিঝড়। একই সঙ্গে ভূভাগে প্রবেশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি বাঁক নিয়ে পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে সেটি। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল থেকে দূরে অবস্থিত জেলাগুল♛িতে ঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।
শেষ পাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে ঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে উপকূলবর্তী ২ জেলা পূর্ব মেদিনী𒆙পুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরেও ঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় ৩০০ মিমি বা তার বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখানে ঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না। শনিবার বেলা বাড়লে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।